Sheikh Hasina: কোথায় শেখ হাসিনা? ‘লোকেশন’ জানাল ভারত সরকার

বাংলাদেশে (Bangladesh) ‘গণহত্যা’ মামলায় অভিযুক্ত (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনা। গত আগস্ট মাসে গণবিক্ষোভে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর ভারতে আশ্রয় নেন। তিনি ভারত ত্যাগ করেছেন বলে…

Bangladesh Diplomatic Passport of Fugitive Sheikh Hasina

বাংলাদেশে (Bangladesh) ‘গণহত্যা’ মামলায় অভিযুক্ত (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনা। গত আগস্ট মাসে গণবিক্ষোভে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর ভারতে আশ্রয় নেন। তিনি ভারত ত্যাগ করেছেন বলে বাংলাদেশ তীব্র আলোচনা। বাংলাদেশের অম্তর্বর্তী সরকারের তরফে বলা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কোথায় আছেন তা জানা নেই। এরপর বিতর্ক আরো বাড়ে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) আশ্রয় নিয়েছেন।

শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান কোথায? এই প্রশ্নের উত্তরে এবার মুখ খুলেছে ভারত সরকার। এমনই জানাচ্ছে বিবিসি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনার বর্তমান ‘লোকেশন’ জানিয়েছে ভারত সরকার।

   

বিবিসি জানাচ্ছে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের কয়েকজন শীর্ষ আমলা সরাসরি জানিয়েছেন শেখ হাসিনা কোথায় আছেন। তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন শেখ হাসিনার লোকেশন পাল্টায়নি।

শেখ হাসিনা কোথায়? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশমন্ত্রক উপদেষ্টা তৌ‌হিদ হো‌সেন বলেছেন, ভারত এবং ইউএই দুই দেশেই সরকারিভাবে শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিবিসি’র খবর বাংলাদেশের তরফে এমন বার্তার পর ভারতের তরফে শেখ হাসিনার অবস্থান স্পষ্ট করা হয়। ভারত জানিয়েছে, শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!’

বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা  ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন প্রায় দু মাস। গত ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবিসি জানাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে চলে আসার পর শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা দিল্লিতে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে থাকেন। সম্প্রতি ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল দিল্লির লোদী গার্ডেনে শেখ হাসিনাকে দেখা গেছে। সূত্র মারফত বিবিসি জানিয়েছিল, দিল্লিতে একটি অফিস করেছেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তিনি তাঁর দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচির নির্দেশ দেন। এমন কিছু নির্দেশ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। হাসিনাকে চুপ থাকতে বলেল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।

গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশ সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ নিয়মের সংস্কার (কোটা সংস্কার) দাবিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ক্রমে গণবিক্ষোভে পরিনত হয়েছিল। বিক্ষোভ দমনে গুলিতে নিহত হন শতশত বিক্ষোভকারী। অভিযোগ, এই গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। পালাবদলের পর হাসিনার বিরুদ্ধেই বাংলাদেশে শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। হাসিনাকে  ভারত থেকে ফেরত এনে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে এমন দাবি উঠেছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, ভারত সরকারের একটি উচ্চপদস্থ সূত্র বলেছে, “যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহুর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনও দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোছাপা করার তো কোনও কারণ নেই!”

হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেছেন, আমার মা ভারত ছেড়ে গিয়েছেন বলে যে খবর চাউর হয়েছে সেটি সঠিক নয়। তিনি এখনও ভারতে অবস্থান করছেন।