Durga Puja Clash: দুর্গাপূজায় রক্তাক্ত সংঘর্ষ, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গুলিবিদ্ধ একাধিক

একাধিক গুলিবিদ্ধ। বেসরকারিভাবে আসছে নিহতের সংবাদ। দুর্গাপূজা ঘিরে রক্তাক্ত পরিস্থিতি (Durga Puja Clash)  বিজেপি শাসিত (Tripura) ত্রিপুরায়। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে নেমেছে আধা সেনা-অসম রাইফেলস। বাংলাভাষী অধ্যুষিত…

tripura

একাধিক গুলিবিদ্ধ। বেসরকারিভাবে আসছে নিহতের সংবাদ। দুর্গাপূজা ঘিরে রক্তাক্ত পরিস্থিতি (Durga Puja Clash)  বিজেপি শাসিত (Tripura) ত্রিপুরায়। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে নেমেছে আধা সেনা-অসম রাইফেলস। বাংলাভাষী অধ্যুষিত ত্রিপুরায় আসন্ন শরদোৎসবের আগে ভয়াবহ পরিস্থিতি।

জানা যাচ্ছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে কদমতলায় পুলিশ শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, গুলিবিদ্ধ একাধিক। সামাজিক মাধ্যমে রক্তাক্ত ছবি ছড়িয়েছে।

   

কংগ্রেস বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণের অভিযোগ,”কদমতলা বাজারে যখন উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয় তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগরতলা শহরে রাত পর্যন্ত দুর্গা পূজার প্যান্ডেল উদ্বোধনে ব্যস্ত থাকেন।সকলের কাছে আবেদন সৌভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখুন।”

দুর্গাপূজার চাঁদা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে  বাড়ি ঘরে হামলা বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।  ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও টিএসআর জওয়ান ও অসম রাইফেল। সিল করা হয়েছে ত্রিপুরা-অসম আম্ত:রাজ্য সীমানা।

রাজ্যের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি উত্তপ্ত বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে এমনই অভিযোগ বারবার করে আসছে বিরোধী দল সিপিআইএম। বিরোধী দলনেতা ও সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী বারবার চাঁদাবাজি নিয়ে সরব ছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা পুজোর চাঁদাবাজি নিয়েও সরব। সেই চাঁদাবাজি ঘিরে রক্তাক্ত সংঘর্ষ উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলায়।

অনেকের মতে, এই ঘটনার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাদুড়িয়ার গোষ্ঠী সংঘর্ষের মিল পাচ্ছেন। ২০১৭ সালে একটি সোশাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে উত্তপ্ত হয় উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া। বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুরের পাশাপাশি চলে লুটপাট। এসবই গোষ্ঠী সংঘর্ষের বৈশিষ্ট্য। তবে কদমতলা এবং বাদুড়িয়ার মিল রয়েছে ভৌগলিক অবস্থানে।

ত্রিপুরা এবং বাংলার এই দুই এলাকা বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা বাদুড়িয়ায় হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই একই ঘটনা কি কদমতলাতেও? এ সন্দেহের বড় কারণ ত্রিপুরা সীমান্তের ঢিলে পাহারা। অনেক জায়গায় পাহার। নজরদারিও কম। তাই সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চালানো খুব কঠিন নয়।

সে যেটাই হোক, এই ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। কারণ আরও একটা উত্তর পূর্বের রাজ্যে অশান্তি। মনিপুরে কুকি-মেইতেই অসন্তোষ। কয়েক বছরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেই একই পথে ত্রিপুরা। বাঙালি প্রধান জেলায় পুজোর মুখে অশান্তি।