বিগত কয়েক মাস ধরেই দেশের জাতীয় শেয়ার নিমায়ক সংস্থা সেবির (SEBI) বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে এবার সেবিকে তলব করল সংসদীয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি। ওই সংস্থায় কী ভাবে কাজকর্ম পরিচালিত হয়, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)।
আমি অস্ত্র ত্যাগ করে, গান্ধীর আদর্শ মেনে চলি, দাবি কাশ্মীরের সন্ত্রাসী নেতা ইয়াসিনের
আগামী ২৪ অক্টোবর এই নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছে পিএসি (Public account commitee)। দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-প্রধান মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই আবহেই সেবিকে পর্যালোচনা বৈঠকে ডেকে পাঠাল সংসদীয় কমিটি।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ইনকাম, যুবনেতাদের ‘নীতিহীনতা’য় সঙ্কটে সিপিএম
শুধু সেবিই নয়, টেলিকম নিমায়ক সংস্থা ট্রাই’য়ের ডিরেক্টর অনিল কুমার লাহোতি বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি দলকেও তলব করেছে পিএসি। গত অগস্টে সেবি প্রধান মাধবী পুরি বুচ আদানীর বিভিন্ন সংস্থায় তাঁর বিপুল শেয়ার রয়েছে বলে জানা যায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেতই শোরগোল পড়েছে ঘরোয়া রাজনীতিতে। কারণ সেবির মতো জাতীয় আার্থিক প্রতিষ্ঠানে মাধবী পুরির মতো ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তিত্বকে মেনে নিতে পারেনি বিরোধী দলগুলি। কারণ সেবির মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিরপেক্ষ থেকে আইন অনুসারে কাজ করে যাওয়াই সংবিধানসিদ্ধ।
কিন্তু সেক্ষেত্রে ‘মোদী-ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতির সংস্থায় অংশীদারিত্ব থাকায় তিনি কতটা নিরপেক্ষ থাকতে পেরেছেন তা নিয়েও আপত্তি কংগ্রেস সহ বিরোধীদের। লোকসভা ভোটের সময় নির্বচনী বন্ড কাণ্ডে সেবির আদালতের পাশাপাশি সেবির দ্বারস্থও হয়েছিল বিরোধীরা। একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সেবির আওতায় এনে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়। তখনও মাধবী পুরির সম্পর্কে এমন তথ্য বেফাঁস করেনি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। এবার প্রকাশ্যে আসায় মোদী সরকারকে আরও চাপে পড়তে হল।
সবজির দাম বাড়তেই চড়াও নিরামিষ থালির দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
এবার ট্রাইয়ের সঙ্গে সেবিকে পিএসির পর্যালোচনায় তলব আখেড়ে মোদী সরকারের দীর্ঘশ্বাস বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ পিএসির মতো সংস্থাতে বিরোধী সাংসদদেরও উপস্থিতি থাকবে। সেখানে সেবির কর্তাদের ওপর পর্যালোচনা কেন্দ্রকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।