মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আবহে SCO বৈঠক, পাকিস্তানে ভারতের দিকে তাকিয়ে সব দেশ

ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। তারমধ্যে সাংহাই কর্পোরেশনের (SCO summit) বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Jaishankar Pakistan visits)। আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর…

Indian foreign minister visit sco summit to pakistan

ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। তারমধ্যে সাংহাই কর্পোরেশনের (SCO summit) বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Jaishankar Pakistan visits)। আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানে যাবে ভারতীয় প্রতিনিধি দল তবে শুধুমাত্র সম্মেলনে যোগ দিতেই। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। 

সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মণিপুরে, মশাল মিছিলে জনস্রোত

   

অতীতে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম পাক সফর করেছিলেন। তারপর প্রয়াত বিদেশমন্ত্রী ও পরে রাজনাথ সিং বহুপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই ২০১৭ সালে শেষবার পাকিস্তানে যান। তারপর প্রায় আট-নয় বছর পর কোনও ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী ফের পা রাখতে চলেছে ইসলামাবাদে। 

পুজোয় রেলের বিশেষ উপহার! এই লাইনে বাড়তি লোকাল ট্রেনের ঘোষণা

২০১৯ সালের উরি ও পুলবামা কাণ্ডে পর পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিক্যাল ও এয়ারস্ট্রাইক করে ভারত। যার জেরে উত্তপ্ত হয়েছিল দুই দেশের সম্পর্ক। তারপর দীর্ঘ ছয় বছর কেটে গেলেও স্বাভাবিক হয় দুদেশের সম্পর্ক। গতবছর গোয়ায় অনুষ্ঠিত এসসিওর বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতে এলেও তাঁর সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেনি নয়াদিল্লি। এদিকে কাশ্মীরে ভোট চলাকালীন সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। তারপরেই এই পাক সফর দুই দেশের সম্পর্কের শীতলতা আদৌ কমাবে বলে মনে করছেন না কূটনৈতিকমহল। 

নাবালিকা হত্যায় অগ্নিগর্ভ জয়নগরে পুলিশ ক্যাম্পে আগুন, পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের

তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের আবহে জ্বলছে। ইরানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে চিন ও রাশিয়া। এমন অবস্থায় এসসিওর সদস্য অন্যান্য মধ্য এশিয়ার মুসলিম দেশগুলির অবস্থান কী হতে চলেছে, সেদিকেই তাকিয়ে বিশ্ব। তবে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দের কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক কোনও কালেই খুব মধুর নয়। অতীতে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে দুই প্রতিবেশি। অন্যদিকে, এই গোষ্ঠীর একমাত্র ভারত ছাড়া ইজরায়েলের পক্ষে তেমন কেউই অবস্থান নিতে চাইছে না। এদিকে, যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ভারতকে হস্তক্ষেপের আমন্ত্রণ জানিয়েছে তেহরান। এমন অবস্থায় আসন্ন এসসিও সম্মেলন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি সহাবস্থানের ক্ষেত্রে আসন্ন সম্মেলনে ভারত কী ধরনের বক্তব্য রাখে তার দিকে নজর রয়েছে বিশ্বের। কারণ আর্থিক-নিরাপত্তা তেল আমদানী ক্ষেত্রে ইরানের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল ভারত। অন্যদিকে ইজরায়েলের গুরুত্ব রয়েছে নয়াদিল্লির কাছে। 

কিন্তু এসসিও সংগঠনটিতে ইরান পন্থী দেশের সংখ্যাই বেশি। সেক্ষেত্রে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সুর কোনদিকে থাকবে সেদিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।