চিনকে রুখতে মায়ানমারের বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধছে ভারত

চিনকে রুখতে এবার মায়ানমারের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চলেছে ভারত (India)। একদিকে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে নয়াদিল্লির। তা সত্বেও উত্তর-পূর্ব…

India invites Mynamr rebels to counter china and for talk

চিনকে রুখতে এবার মায়ানমারের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চলেছে ভারত (India)। একদিকে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে নয়াদিল্লির। তা সত্বেও উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তা ও চিনের প্রভাব প্রতিহত করার স্বার্থে মায়ানমারের (India Myanmar relation) বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চাইছে সাউথব্লক। এই কৌশলের পেছনে কতগুলি কারণ রয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।

বাঁশদ্রোণীকাণ্ডে অভিযুক্ত পে লোডারের চালককে পালতে সাহায্য করে মালিক, দাবি পুলিশের

   

আগামী নভেম্বরেই নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের (Ministry of External affiars) তরফে আয়োজিত একটি সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির নেতাদের। তবে সেখানে কী কী আলোচনা হবে তা গোপন রাখা হয়েছে।

কূটনৈতিক মহলের মতে, বর্তমানে মায়ানমারে জুন্টা সরকারের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে পশ্চিমী দুনিয়া। কিন্তু তবুও ২০২১ সালে জুন্টাদের উত্থানের পর সেই সামরিক সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। এদিকে গতবছর ২০২৩ থেকেই জুন্টা বিরোধী বিদ্রোহে সেদেশের অধিকাংশ অঞ্চলই নিজেদের দখলে নিয়েছে আরাকান স্যালভেশন আর্মি, চিন ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট কিংবা কুকি-চিনের মতো একাধিক বিদ্রোহী সংগঠন।

HDFC ব্যাংকের শেয়ারের ভাগ্য কি এবার বদলে যাবে? বিনিয়োগ হয়েছে ৭৫৫ কোটি টাকা

ফলে দেশের মাটিতে জমি হারিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় মায়ানমারের জুন্টা সরকার। এদিকে বিদ্রোহীদের সমর্থনে তাঁদের হয়ে লড়ছে একাধিক পশ্চিমী মার্সেনারিস (ভাড়াটে সৈন্য)। পাশাপাশি চিনের থেকে সামরিক সহযোগিতা মেলায় স্বাভাবিকভাবেই ওই অঞ্চলে জমি হারানোর সম্ভাবনা বাড়ছে ভারতের। সেই সঙ্গে উত্তর-পূর্বে মনিপুরের সমস্যা মেটাতে মায়ানমারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কুক বিদ্রোহীদের দমন, ভারতে অনুপ্রবেশ ও চিনকে প্রতিহত করতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি। 

আজই হাসপাতাল থেকে ছুটি পাচ্ছেন গোবিন্দা, হাসিমুখে জানালেন স্ত্রী

এছাড়াও মায়ানমারে ভারতের কালাদান বন্দর, সড়ক যোগাযোগ ও গ্যাস পাইপলাইন সহ একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে ভারত। সেই বানিজ্যিক স্বার্থেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্পর্কস্থাপন করতে চায় সাউথব্লক। কারণ ওই বিনিয়োগগুলির স্বার্থ সুরক্ষিত থাকলে আগামীতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ভারতের প্রভাব অক্ষুন্ন থাকবে বলেই মনে করে কূটনৈতিক মহল।