সদ্যই বাংলার মহিলা দলের ফুটবল দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। নতুন দায়িত্ব নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন সুজাতা কর (Sujata Dhar)। তবে আজ মাঠে নেমে আশাবাদী নয়; বেশ হতাশই দেখল বাংলার নবনির্বাচিত কোচকে। আসন্ন ন্যাশনাল উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম অনুশীলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মহিলা ফুটবলারদের রীতিমত সরব হন সুজাতা। আজ রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বাংলা মহিলা ফুটবলের অনুশীলন। আর এই অনুশীলনেই অনুপস্থিত ছিলেন শ্বাশতী সরকার, মমতা মাহাতোর মত তারকারা। যা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
আগামী শনিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে চলেছে মহিলাদের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। গতবার এই টুর্নামেন্টে আশা জাগিয়েও শেষমেশ ব্যর্থতাই জুটেছিল বাংলার কপালে। মূলত দুর্বল রক্ষণভাগ এবং মাঝমাঠে গতির অভাব বেশ ভালোভাবেই চোখে পড়েছিল সমালোচকদের। এছাড়াও বেশ কিছুমাস আগে অনুষ্ঠিত কন্যাশ্রী কাপেও মহিলা দলের মাঝমাঠের ‘দুর্বলতা’বেশ ভালোভাবেই ফুটে ওঠে প্রত্যেক ম্যাচে। তাই প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়ে এবিষয়ে একটু বেশিই ‘সতর্ক’ ছিলেন সুজাতা। তবে সতর্ক থাকলেও দলের প্রত্যেককে নিয়েই আশাবাদী ছিলেন একদা শ্রীভূমি দলকে কোচিং করানো বাংলার এই প্রাক্তন ফুটবলার। আজ সেই বিশ্বাসেই একপ্রকার ‘ চিড়’ ধরল তাঁর।
তবে বেশ কিছু তারকা ফুটবলাররা অনুপস্থিত থাকলেও; এদিন উপস্থিত ছিলেন তুলসী হেমব্রম, তৃষা মালিক, বর্ণালী করের মত অভিজ্ঞ ফুটবলার। নিজেদের অনুশীলনের পাশাপাশি বেশ কিছু নবাগতা মহিলা ফুটবলারদের একপ্রকার ‘শিখিয়ে- পড়িয়ে’ নিচ্ছিলেন তাঁরা। তবে সুজাতার চেষ্টাতেও কোনো খামতি দেখা যায়নি। নিজস্ব স্টাইলে সঠিক নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে এদিন মহিলা ফুটবলারদের ‘পরখ’ করে নিচ্ছিলেন তিনি। এছাড়াও প্রায় মিনিট কুড়ি সময় ধরে কর্নার কিক এবং পেনাল্টির জন্য বিশেষ অনুশীলন করাতেও দেখা যায় সুজাতাকে। সবমিলিয়ে আসন্ন জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতার জন্য দলকে যে একপ্রকার নিজের করে ‘ গড়ে ‘ তুলতে চান সুজাতা , সেটা বারবার ধরা পড়ছিল অনুশীলনের সময় তাঁর শরীরী ভাষায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে আগামী ১৯ তারিখ থেকে শুরু এই প্রতিযোগিতার বেশিরভাগ ম্যাচগুলিই খেলা হবে নৈহাটি সহ নদীয়া জেলার বিভিন্ন মাঠে। পূর্বে লাল হলুদ শিবিরের কোচ থাকাকালীন এইরকম একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল সুজাতাকে। দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার রত্না হালদারকে ঘিরে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন সুজাতা। সেবারে অবশ্য ক্লাব কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তবে সব ভুলে আসন্ন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের আগে দলকে ‘এক এবং অভিন্ন’ করাটাই এখন সুজাতার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।