গত ১৪ বছরে জৌলুস হারিছে মহানগরীর ট্রাম, আদালত অবমানর অভিযোগ দফতরের বিরুদ্ধে

কলকাতার ট্রাম (Kolkata Tram) ১৮৭৩ সালে পথ চলা শুরু করলেও, ৮০ দশকের শেষ দিক থেকে আধুনিক যানবাহনের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। সেই সময়ে শরের এক…

Kolkata Tram

কলকাতার ট্রাম (Kolkata Tram) ১৮৭৩ সালে পথ চলা শুরু করলেও, ৮০ দশকের শেষ দিক থেকে আধুনিক যানবাহনের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। সেই সময়ে শরের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম ছিল এই ট্রাম (Tram)। ১৫০ বছরের পুরনো এই ট্রাম পরিষেবা আজ প্রশ্নের মুখে। যদিও এর পিছনে সরকার পক্ষকে দায়ী করছেন ট্রাম প্রেমিরা।

Advertisements

 

   

 

পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৪ বছরে জৌলুস হারিছে মহানগরীর ট্রাম। ২০১১ সালে শহরে ট্রামের রুট ছিল ৩৭ টি, কর্মচারী ছিল ৭০০০ জন, ৬১ কিলোমিটার ট্রাম লাইন ছিল শহরে, যাত্রী সংখ্যা ছিল ৭০ থেকে ৭৫ হাজার, বিনিয়োগ করা হয়ে ৫.৫ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে ট্রামের রুট সংখ্যা কমে দাড়ায় ২৭ টি, কর্মচারী ছিল ৫৬০০ জন, ট্রাম লাইন কমে দাড়ায় ৪৩ কিলোমিটার, যাত্রী সংখ্যা হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার, সেই বছর ট্রাম কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয় ৩.৩ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে শহরে ট্রামের রুট ছিল ১৫ টি, কর্মচারী ছিল ৪১০০ জন, সেই সময়ে ২২ কিলোমিটার ট্রাম লাইন ছিল শহরে, যাত্রী সংখ্যা দাড়ায় ২০ থেকে ২১ হাজার, ট্রাম কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয় ১.৩ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে ট্রামের রুট সংখ্যা কমে দাড়ায় ৮ টি, কর্মচারী সংখ্যা হয় ৫৬০০ জন, ট্রাম লাইন কমে দাড়ায় ১৫ কিলোমিটার, যাত্রী সংখ্যা হয় ১৪ থেকে ১৫ হাজার, ওই বছর ট্রাম কোম্পানিতে কোন বিনিয়োগ হয় নি। ২০২২ সালে ট্রামের রুট সংখ্যা কমে দাড়ায় ২ টি, লাইন কমে দাড়ায় মাত্র ১২ কিলোমিটার। যাত্রী সংখ্যা কমে হয় ৫ থেকে ৭ হাজার। ট্রাম কোম্পানিতে বিনিয়োগের অঙ্ক ছিল শুন্য। আর্থিক দিক থেকে অলাভজনক গনপরিবহনের তকমা পেয়েছে তিলত্তমার ট্রাম।

Advertisements

 

অন্যদিকে, আদালত অবমানর অভিযোগ ডব্লিউবিটিসি-র (WBTC) বিরুদ্ধে। শহরের ট্রাম ট্র্যাকগুলির বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন কর্পোরেশনের (WBTC) বিরুদ্ধে। পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালকাটা-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রদীপ কক্কর একটি পিটিশন দাখিল করেন। আদালতের আদেশ সত্ত্বেও ট্রাম ট্র্যাকের বিটুমেনাইজেশনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মামলাটি করা হয়। ডাব্লুবিটিসির (WBTC) ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনশুল গুপ্তকে একটি চিঠি লেখেন মামলাকারী। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ৮ মে, ২০২৩-এ পিআইএল-এর জবাবে হাইকোর্ট একটি অন্তর্বর্তী আদেশ দেয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কলকাতায় আর কোনও বিটুমেনাইজেশন বা ট্রাম ট্র্যাক অপসারণ করা যাবে না। তবে ২০২৪ সালে ৫ ও ৬ আগস্ট, ২০২৪-এ সংবাদ মাধ্যমরে রিপোর্ট বলছে এই বিটুমেনাইজেশন বা ট্রাম ট্র্যাক অপসারণের কাজ এগিয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। যদিও ডব্লিউবিটিসির (WBTC) কোন আধিকারিক এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।