Middle East tensions: ‘আত্মরক্ষায় হামলা’ বলল ইরান, ভোট ফেলে বৈঠকে কমলা হ্যারিস, এবার ইজরায়েলের প্রত্যাঘাত?

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: পারস্য উপসাগরের গরম হাওয়ায় (Middle East tensions) বিশ্ব উত্তপ্ত। যে কোনও মুহূর্তে ইজরায়েলের তরফে ইরানের উপর হামলা হবে। আপাতত বৃষ্টির মতো…

Kamala Harris Joins Meeting Post-Vote

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: পারস্য উপসাগরের গরম হাওয়ায় (Middle East tensions) বিশ্ব উত্তপ্ত। যে কোনও মুহূর্তে ইজরায়েলের তরফে ইরানের উপর হামলা হবে। আপাতত বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া ইরানি মিসাইল আটকানোর পালা। সূত্র মারফৎ জানছি কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি নামছেন উপসাগরী উত্তাপে জল ঢালতে। আগে অনেক কূটনৈতিক ম্যাজিত দেখালেও এক্ষেত্রে তিনি কতদূর সফল হবেন তা নিশ্চিত নয়। কারণ, ইরানে হামলার এমন সুযোগ ইজরায়েল হাতছাড়া করবে না।

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার ভাষণে ইরানি জনগণকে মুক্তি দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেন, ভাষণে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান যখন শেষ পর্যন্ত মুক্ত হবে এবং সেই মুহূর্তটি মানুষের ধারণার চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি আসবে – সবকিছু ভিন্ন হবে,” নেতানিয়াহু বলেছিলেন, আমাদের দুটি প্রাচীন মানুষ, ইহুদি জনগণ এবং পারস্যের মানুষ, অবশেষে শান্তিতে থাকবে। আমাদের দুই দেশ ইজরায়েল ও ইরান শান্তিতে থাকবে।

   

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর রকেট হামলা করেছিল। ইজরায়েলের ভিতর গণহত্যা চালিয়েছিল। তার জবাবে হামাসকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করেছে ইজরায়েল। সংগঠনের শীর্ষ নেতা হানিয়াকে ইরানের ভিতর খতম করেছে ইজরায়েল। এরপর হামাসের মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠনকে ধংস করছে ইজরায়েল। খতম হিজবুল্লাহর প্রধান নাসরুল্লাহ। ইরানের সংবাদমাধ্যম ‘ইরনা’ জানাচ্ছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর উত্তেজক ভাষণের পর দেশটির সর্বচ্চো নেতা আলি খামেনেই ইজরায়েলের অন্যতম টার্গেট।

ইজরায়েলের তরফে রান বিরোধী যুদ্ধের বার্তার পর মঙ্গলবার ইরান প্রথমে হামলা শুরু করল। ইরানি সংবাদমাধ্যম ইরনা জানাচ্ছে, হামলা শুরু বলে দাবি করেছে দেশটির সেনা। ইজরায়েলকে সংযত থাকতে বলা হয়। তবে এবার ইজরায়েলের তরফে হামলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বন্ধু দেশ ইজরায়েলেন উপর ইরানি হামলার খবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিন্তিত। পারস্য উপসাগরে থাকা মার্কিন রণতরীগুলিতে যে কোনওরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ভোট চুলোয় যাক আগে প্রতিরক্ষা, এই নীতি মেনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বিশেষ বৈঠক করেছেন। কমলা হ্যারিসই আসন্ন যুদ্ধ পরিস্থিতি তদারকি করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।