চা বাগানের শ্রমিকদের ধর্মঘট নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

রাজ্যের চা বাগানের (West Bengal Tea Gerden)শ্রমিকরা ন্যায্য বোনাসের দাবিতে সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেন। রাস্তা অবরোধ করেন ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীরা। অন্যদিকে…

West Bengal Tea Gerden

রাজ্যের চা বাগানের (West Bengal Tea Gerden)শ্রমিকরা ন্যায্য বোনাসের দাবিতে সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেন। রাস্তা অবরোধ করেন ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীরা। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তিনি ধর্মঘটকে সমর্থন করেন না তবে দাবি গুলির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন তিনি শ্রম কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবেন। রাজ্য সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা বলেন দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে কোন সমাধান সূত্র মেলেনি। গত রবিবার শ্রমিক ভবনে চতুর্থ দফা বৈঠক হয়। তাতে রাজনৈতিক দলগুলি ট্রেড ইউনিয়নের এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে। সে কারণে ১২ ঘন্টা ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

   

গত মার্চ মাসে রাজ্যের চা শ্রমিকরা কেন্দ্রের এই ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তাদের দুর্দশার সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছিলেন তারা। দার্জিলিং চা শিল্পের সংকটের কথা জানান তারা। যদিও কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয় চা শ্রমিকদের জন্য শস্য বীমা সহ আর্থিক প্যাকেজের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। কেন্দ্র।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন চা শিল্প দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের প্রধান অর্থনৈতিক মেরুদন্ড। ভারতের মোট চা উৎপাদন প্রতিবছর প্রায় ১৪০০ মিলিয়ন কেজি। যার মধ্যে প্রায় আড়াইশো মিলিয়ন কেজি চা তৈরি হয়, উত্তরবঙ্গে। তিনি আরো বলেন এই যা শিল্পকে কেন্দ্র করে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান। দার্জিলিং ডুয়ার্স মিলিয়ে প্রায় ৩০০ টি চা বাগান রয়েছে। শ্রমিকদের দাবি তাদের দৈনিক মজুরি বাড়ানো হোক। বর্তমানে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিকরা দৈনিক আড়াইশো টাকা মজুরি পান।