গতকালই অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে ভরাডুবি ঘটেছে দলের। আই এস এলের এ মরশুমে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্যে নেমে প্রায় ‘নাস্তানাবুদ’ অবস্থা হয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টেসর (Mohun Bagan SG)। এই প্রথমবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের কোনো সিজনে অ্যাওয়ে ম্যাচে একটাও গোল করতে না পেরে ৩-০ গোলে বেঙ্গালুরুর কাছে পরাজিত হয়েছে সবুজ- মেরুন শিবির।
তবে সুনীল ছেত্রীদের দলের কাছে ল্যাজেগোবরে অবস্থা হলেও লজ্জার লেশমাত্র নেই মোহনবাগান সচিব দেবাশীষ দত্তের। আজ মগরায় শৈলেন মান্নার স্মৃতিতে অনুষ্ঠিত রক্তদান শিবিরের মঞ্চে এসে আনোয়ার ইস্যুতে’প্রতিপক্ষ ‘ ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন দেবাশীষ দত্ত। যদিও লাল হলুদ ডিফেন্ডারকে নিয়ে কথা বললেও ; গতকাল দলের লজ্জাজনক পারফরম্যান্স সর্ম্পকে এদিন কিছু বলতে শোনা যায়নি তাঁকে।
আজ সকালে মগরা মেরিনার্স এর উদ্যোগে উদযাপিত হয়েছে বাগান কিংবদন্তি শৈলেন মান্নার স্মৃতিতে চতুর্থ বার্ষিক রক্তদান শিবির। প্রতিবারের মতো এবারেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত সহ অন্যান্য মোহনবাগান ক্লাবের কর্মকর্তা এবং সদস্যরা। এদিন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের দাবিতে নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছুক্ষণ আগেই পৌঁছে যান বাগান সচিব দেবাশীষ। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভারতের জাতীয় পতাকা ও মোহনবাগান পতাকা উত্তোলন করেন সবুজ-মেরুন শিবিরের সচিব। এছাড়াও এদিন পদ্মশ্রী শৈলেন মান্নার ছবিতে মাল্যদান করতে দেখা যায় বাগান কর্তৃপক্ষের অন্যতম প্রধান কর্মচারীকে।
এদিন বাংলার কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার ছবিতে মাল্যদান সম্পন্ন হলে তারপরই সবুজ মেরুন ফিতে কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দেবাশিস দত্ত। অনুষ্ঠান শুরু হলেই বাগান সমর্থকদের সামনেই তিনি ইস্টবেঙ্গলকে আনোয়ার আলী বিষয়ে আক্রমন করতে শুরু করেন । এছাড়াও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে আজ সকালে বাগান সচিব বলেন, ” দোষটা সম্পূর্ণভাবে ওদের (ইস্টবেঙ্গলের)। বার বার ভুল পথে চলছে ওঁরা। আনোয়ারকে ঘিরে দোষী প্রমাণ হয়ে হয়তো এতদিনে শিক্ষা হয়েছে ওঁদের। আশা করি এবার অন্তত ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন কর্তৃপক্ষ।” দেবাশীষের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পরই তাঁকে গতকালের বাগানের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে একপ্রকার নিশ্চুপ থেকেই বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে পরাজিত হওয়ার পাশাপাশি লিগ টেবিলেও এক লাফে ‘পতন’ ঘটেছে মেরিনার্সদের। গতকাল ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে ছিল সবুজ- মেরুন ব্রিগেড। এদিন হারের পর অষ্টম স্থানে রয়েছে মোলিনার দল। অন্যদিকে জিতে এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছে সুনীল ছেত্রী এন্ড কোম্পানি। আজ মগরায় রক্তদান করার পাশাপাশি তিনটি ফুটবল ক্লাবের ছেলেদের হাতে ফুটবল ও খেলার ড্রেস প্রদান করেন বাগান সচিব। তবে দেবাশীষ ক্লাবের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ এড়িয়ে ফুরফুরে মেজাজ দেখালেও; টানা দুই ম্যাচ হেরে ক্লাব কর্তৃপক্ষের মনোভাব যে একেবারই ‘ফুরফুরে’ নয় সেকথা একেবারে নিশ্চিত হিসাবেই বলা যায়।