নির্বাচনী বন্ডে চরম দুর্নীতি, নির্মলার ইস্তফার দাবিতে সরব কংগ্রেস

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার পর এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Sitaraman) ইস্তফার দাবিতে সরব কংগ্রেস হাইকমান্ড (National Congress)। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে প্রবীন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।…

Congress demands Finance minister resignation over Electoral bond scam controversy

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার পর এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Sitaraman) ইস্তফার দাবিতে সরব কংগ্রেস হাইকমান্ড (National Congress)। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে প্রবীন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। দলের আরও এক বিশিষ্ট নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে পাশে নিয়ে নির্মলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত-দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। জয়রামের কথায়,”নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থাকে ভয় দেখিয়েও অর্থ তোলেন তিনি। সুতরাং নৈতিকভাবেই অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করা উচিত তাঁর।” তিনি আরও বলেন কর্ণাটকে নির্মলার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর আদালতের নির্দেশেই হয়েছে। যার পেছনে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা নেই। 

সোমবার পথে নামবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সহ আপ মন্ত্রীরা

   

অতীতেও বহুবার নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে সিট গঠনের আবেদন জানিয়েছিল কংগ্রেস। এবার ফের সেই একই সূর শোনা গেল জয়রামের গলায়। তিনি স্পষ্টত বলেন, “এই ঘটনার পেছনে শুধু নির্মলা সীতারমন একা নন। আমরা জানি এক নম্বর ও দুই নম্বর ব্যক্তি কে?” অর্থ্যাৎ তাঁর নিশানায় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ রয়েছেন, তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

পরমানু চুক্তিতে সমর্থন প্রত্যাহার, বামেদের ‘বেলাইনে’র কাণ্ডারী কারাতই ফের সেক্রেটারি

সম্প্রতি নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitaraman) বিরুদ্ধে এফআইআরের (Fir against Nirmala Sitaraman) নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্গালুরুর একটি আদালত। সেই মতো এফআইআর দায়ের করেন আদর্শ আইয়ার নামের এক ব্যক্তি। কর্ণাটকের জনাধিকার সংঘর্ষ সংগঠন নামক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতের নির্দেশ পেয়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

একগুচ্ছ নতুন ঘোষণা রেলের, আজ এই ট্রেনের সময়সূচিতে বদল

গত ফেব্রুয়ারীতে লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছিল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। তখন কোন কোন সংস্থার থেকে কত পরিমান অর্থ সাহায্য পেয়েছে কেন্দ্র তা প্রকাশ করতে এসবিআইকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে রীতিমতো উত্তাল হয়ে দেশের রাজনীতি। শেষপর্যন্ত টালবাহানার পর তা প্রকাশ্যে এলে বেকায়দায় পড়ে কেন্দ্রের তৎকালীন মোদী সরকার। যার জেরে নির্বাচনেও বড়সড় ধাক্কা খায় গেরুয়া শিবির। আর সেই আর্থিক কেলেঙ্কারির দায় এবার নির্মলার ওপরই চাপিয়ে পাল্টা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মরিয়া কংগ্রেস।