সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ানো হল নিরাপত্তা, মোতায়েন আরও বেশি পুলিশ

কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) ঝামেলার পরই হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হল। হাসপাতালের আউটপোস্টে পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হল। হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরাও…

sagoredutta1 সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ানো হল নিরাপত্তা, মোতায়েন আরও বেশি পুলিশ

কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) ঝামেলার পরই হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হল। হাসপাতালের আউটপোস্টে পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হল। হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। সূত্রের খবর, আগে ওই ফাঁড়িতে মোট ২৮ জন পুলিশকর্মী কাজ করতেন। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪০।

প্রসঙ্গত, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগীর মৃত্যুর পর শুরু হওয়া উত্তেজনা ভীষণ উদ্বেগজনক। রোগীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের এবং নার্সদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনার পর চিকিৎসক ও নার্সরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন, যা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিরাপত্তার অভাব ও চিকিৎসকদের প্রতি সহিংসতার ঘটনাগুলি নিয়ে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে। এর ফলে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার মানও প্রশ্নের মুখে পড়ছে।

   

নিরাপত্তার দাবিতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নতুন মাত্রা পাচ্ছে। শুধু নিরাপত্তা নিয়ে নয়, আরও বেশকিছু দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন তারা। তারা হাসপাতাল চত্বরে ধর্ণা মঞ্চ স্থাপন করে অবস্থান করছে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফেরার কথাই নেই, এমনটাই জানিয়েছেন তারা। প্রশাসনের তরফে হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ করার জন্য এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেদিকেই নজর রাখছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা।

অন্যদিকে, আজ এই আন্দোলন স্থলে গিয়ে পৌঁছেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। ঘটনাস্থলে তাকে দেখেই ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান উঠতে থাকে। নবনিযুক্ত সভাপতি তখনই জানান, “আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি।”

শনিবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়াও। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে নিরাপত্তা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন তারা। কিন্তু শুকনো কথায় চিঁড়ে কিন্তু ভেজেনি। আন্দোলন এবং কর্মবিরতি এখনও চলছে।

,