দল থেকে প্রান্তিক-রাজন্যাকে সাসপেন্ড করে নজির গড়ল টিম ঘাসফুল

তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পদ থেকে সাসপেন্ড (Rajanya Prantik Suspend) করা হল রাজন্যা হালদার এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ সভাপতি ছিলেন প্রান্তিক চক্রবর্তী…

তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পদ থেকে সাসপেন্ড (Rajanya Prantik Suspend) করা হল রাজন্যা হালদার এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ সভাপতি ছিলেন প্রান্তিক চক্রবর্তী এবং যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পরিচিত মুখ রাজন্যা হালদার। ২০২৩ সালের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই রাজনীতির ময়দানে বহুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন রাজন্য।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রান্তিক চক্রবর্তী। বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন, কর্মসূচি, নির্বাচনী প্রচারে উদাত্ত কণ্ঠে স্লোগান দিতে দেখা যেত তাকে। রাজনীতির ময়দান থেকেই পরিচয়। সেখান থেকেই ব্যক্তিগত জীবনে দাম্পত্যের বন্ধনেও আবদ্ধ হন তারা। কিন্তু কী কারণে পদ খোয়ালেন এই যুগল?

   

গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর প্রান্তিক চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘আগমনী’ শীর্ষক একটি শর্টফিল্মের পোস্টার সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে। সেখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। পোস্টারে দেখা যাচ্ছে ‘আগমনী’ লেখাটির সঙ্গে লেখা রয়েছে আরও একটি লাইন- তিলোত্তমাদের গল্প।

রাজন্যার পরনে রয়েছে ডাক্তারের সাদা অ্যাপ্রন, গলায় স্টেথোস্কোপ ও নাকে নথ। মহালয়ার দিন এই শর্ট ফিল্মটি প্রকাশ্যে আসার কথা ছিল। এরপর থেকেই এই পোস্টার সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতে শুরু করে। প্রায় সকলেই বলতে থাকে আরজি কর কাণ্ডের আবহকে কাজে লাগিয়ে ছবির প্রচার করছেন তারা। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কাজ করে আত্মপ্রচার করছেন তারা। এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে।

এই সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ জানান, “আরজিকর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি শর্টফিল্মের খবর এসেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা তিলোত্তমার ঘটনার ন্যায়বিচার চাই। এই স্পর্শকাতর বিষয়কে প্রচারে ব্যবহার করার চেষ্টার আমরা বিরোধী।”

kunal ghosh

তিনি আরও লেখেন, “যে কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা আছে সৃষ্টিতে। কিন্তু তদন্তাধীন এই মর্মান্তিক ঘটনাকে দলের সঙ্গে জড়িত কেউ যদি ছবির প্রচারে ব্যবহার করে, দল তার দায়িত্ব নেবে না। দল এবিষয়ে কোনও অনুমতি দেয়নি, দল জানত না। যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত, খতিয়ে দেখে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বকে বলা হয়েছে।”

তারপরই গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯.১০ নাগাদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে একটি সাসপেনশন লেটার সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। সেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় যে, দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য আপাতত দু’জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, যতক্ষণ না প্রান্তিক ও রাজন্য দোষমুক্ত হচ্ছেন, ততক্ষণ তাদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক থাকবে না।