রাষ্ট্রসংঘ (UN) অধিবেশনে সর্বাধিক নজর কাড়লেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী (Muhammad Yunus) ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশ তীব্র আলোচিত। বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানাচ্ছে বাংলাদেশকে নিজের পক্ষে টেনে আনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে তীব্র বিনিয়োগ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
ভারতের অতি নিকট পড়শি বাংলাদেশ। এ দেশত্যাগী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রিত। রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশনে ভারত-বাংলাদেশের সরকার প্রধান মোদী ও ইউনূসের মধ্যে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূসের প্রশংশায় পঞ্চমুখ। দুটি দেশের তরফে বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ আসছে বলেই খবর।
ড. ইউনূস বলেছেন, চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ‘নতুন একটি অধ্যায়’ খুলতে চাই। এর মাধ্যমে অতীতের মতো সব উন্নয়ন কাজের অংশীদার হবে চিন। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মাঝে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। তিনি বলেন, চিনা সৌর কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশের কাছে পছন্দের বাজারে প্রবেশাধিকার ভোগ করে।
বিবিসি জানাচ্ছে,চিনের বিদেশমন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসকে ‘চিনা জনগণের পুরনো বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “আপনি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবেন, এ ব্যাপারে আপনার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে”। ওয়াং ই বলেন, চিনা সৌর প্যানেল নির্মাতাদের বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের জন্য প্রফেসর ইউনূস যে আহ্বান জানিয়েছে তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেজনা করবে চিন।
বিবিসি জানাচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতে সংস্কারের জন্য সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে বিশ্বব্যাংক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যাংক
বিবিসির খবর, ভারতের চাপে বন্ধ থাকা সার্ক গোষ্ঠীর সম্মেলন পুনরায় চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন ড. ইউনূস। দক্ষিণ এশিয়ার এই আঞ্চলিক জোটের অধিবেশন ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক দ্বৈরথে বন্ধ হয়ে আছে। রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস। সার্কের সদস্য হতে চিন দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করছে। তাদের সমর্থনে সার্ক সম্মেলনে বারবার প্রস্তাব তুলেছিল পাকিস্তান।