এই কার্ড থাকলেই প্রতিমাসে পাবেন ৩০০০ টাকা, কোন প্রকল্প জানেন?

সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। আর সেসব প্রকল্প থেকে মানুষ নিরন্তর উপকৃতও হচ্ছে। তবে রাজ্যের মতো কেন্দ্র…

If you have this card, you will receive 3000 taka every month.

সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। আর সেসব প্রকল্প থেকে মানুষ নিরন্তর উপকৃতও হচ্ছে। তবে রাজ্যের মতো কেন্দ্র সরকারেরও বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রকল্প আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন? মোদী সরকার এমন একটি প্রকল্প চালু করেছে যে প্রকল্প থেকে আপনি প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে পেতে পারেন। কিন্তু সেই প্রকল্পের নাম কি? কারা সুবিধা পাবেন সেই প্রকল্প থেকে? চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। এই প্রকল্পটি হল ই শ্রম কার্ড বা শ্রমিক কার্ড (E Shram Card)।

মূলত, ১৬ বছর বয়স হলেই এই প্রকল্পের জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন। ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আপনি প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। এই ই শ্রম কার্ডের মাধ্যমে শুধু পেনশনই নয়, একাধিক সরকারি সুবিধাও আপনি পেতে পারেন। কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে? ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হলেই এই প্রকল্পের আওতায় আসা ব্যক্তিরা প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। যেসব গর্ভবতী মহিলারা রয়েছেন যারা কাজ করতে অক্ষম তাঁদের পরিবারকে প্রতিমাসে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

   

এই কার্ডধারীদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই কার্ডের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণে কোনও ব্যক্তি মারা গেলে তার পরিবারকে সর্বাধিক ২ লক্ষ টাকা এবং আংশিক অঙ্গহানি হলে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি দরকার। আর সেগুলো হল, আধার কার্ড (Aadhaar Card), পাসপোর্ট সাইজের ছবি, প্যান কার্ড (PAN Card), ব্যাঙ্ক একাউন্টের বিবরণ এবং আধার লিঙ্কযুক্ত মোবাইল নম্বর।

তাহলে এবার দেখে নেওয়া যাক এই প্রকল্পে আবেদনের প্রক্রিয়াগুলি। ই-শ্রম কার্ডের জন্য আপনি আপনার বাড়িতে বসে অনলাইনেও আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে ই শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর সাইটে গিয়ে ‘নিউ রেজিস্ট্রেশন’ (New Registration) অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপর ‘রেজিস্ট্রেশন অন ই লেবার’ (Registration on E Labour) অপশনটিতে ক্লিক করুন। সেখানে আপনার আধার লিঙ্কড মোবাইল নম্বরটি এন্টার করে মোবাইলে প্রাপ্ত ওটিপি নম্বরটি সাবমিট করুন।

তারপর আপনার ব্যক্তিগত, কাজের এবং ব্যাঙ্কের সব তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করুন। সব তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে সবশেষে সাবমিট অপশনটিতে ক্লিক করলেই আপনার পুরো আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে এই প্রকল্পের সুবিধা সবটাই তো জানলেন কিন্তু কারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন সেটা কি জানেন? ই শ্রম কার্ড পেতে হলে আবেদনকারীর নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। যাদের বয়সসীমা ১৬-৫৯ বছরের মধ্যে তাঁরাই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।

মূলত, অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা কোনও নির্দিষ্ট স্থায়ী আয়ের উৎস পান না, তারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু যারা আয়কর জমা দেন তারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এমনকি ইপিএফও (EPFO) বা ইএসআইসি (ESIC)-এর সদস্যরাও এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার অসংগঠিত শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ই-শ্রম কার্ডের (E Shram Card) সুবিধা চালু করেছে। যা ইতিমধ্যেই দেশের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষকে উপকৃত করছে। জানা যাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত দেশের ২০ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। এর মধ্যে ২ কোটি মানুষকে সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।