ভারত থেকে কেনা বিদ্যুতের দাম ১০০ কোটি ডলার, ধার মেটাতে বাংলাদেশের নাভিশ্বাস

প্রতিদিনই খরচের খাতায় ধারের অঙ্ক বাড়ছে। শনিবার(২১ আগস্ট) পর্যন্ত ভারত থেকে কেনা বিদ্যুৎ খরচ ১০০ কোটি আমেরিকান ডলার। ধার মেটাতে নাভিশ্বাস (Bangladesh) বাংলাদেশের। বাংলাদেশের অন্যতম…

Bangladesh, Muhammad Yunus, electricity bill

প্রতিদিনই খরচের খাতায় ধারের অঙ্ক বাড়ছে। শনিবার(২১ আগস্ট) পর্যন্ত ভারত থেকে কেনা বিদ্যুৎ খরচ ১০০ কোটি আমেরিকান ডলার। ধার মেটাতে নাভিশ্বাস (Bangladesh) বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের অন্যতম সংবাদপত্র ‘ইত্তেফাক’ জানাচ্ছে, ডলার সংকটের কারণে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রায় ৮ থেকে ৯ মাসে প্রতিবেশী দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

   

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ভারতীয় কোম্পানিগুলো ১০০ কোটি ডলারের বেশি যে বকেয়া পাবে সেটি দেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। কিন্তু বকেয়া পরিশোধের জন্য যে ডলার প্রয়োজন সেটি যোগাড় করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) জানিয়েছে, বিদ্যুতের দাম বাবদ ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি পাওনা ভারতের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর। এর মধ্যে প্রায় ৮০ কোটি ডলার আদানি পাওয়ারের কাছে বকেয়া আছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, আরো দুটি ভারতীয় কোম্পানি পিটিসি ইন্ডিয়া ও এসইআইএল বিদ্যুতের দাম বাবদ যথাক্রমে ৮ কোটি ডলার ও ১৯ কোটি ডলারের পাওনা পরিশোধের জন্য চিটি দিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরায় প্রবল দুর্যোগের কারণে সে রাজ্যের গোমতীসহ বিভিন্ন নদীর জল বিপদসীমা পার করেছিল। ত্রিপুরা ও লাগোয়া বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশে ভয়াবহ বন্যা হয়। বাংলাদেশ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ত্রিপুরা সরকার আগাম না জানিয়ে সে রাজ্যের ডম্বুর জলাধারের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছিল। ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ সেই দাবি নাকচ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়। তবে বিপুল বকেয়া আছে। রয়টার্সের খবর,বাংলাদেশের বিদ্যুতের মোট চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ প্রতিবেশী ভারত থেকে আমদানি করে মেটানো হয়।
ইত্তেফাক জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি ও পণ্য আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় বাংলাদেশে ডলার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর বিদেশি মুদ্রার সংকট আরও বেড়েছে।