রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিতে মমতাকে জোড়া চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

গত কয়েকদিন ধরে ডিভিসি অনবরত জল ছাড়ায় বাংলার বিভিন্ন জেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এরপর বৃহস্পতিবার হুগলির আরামবাগে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে এই পরিস্থিতির…

Shuvendu poses a dual challenge to Mamata.

গত কয়েকদিন ধরে ডিভিসি অনবরত জল ছাড়ায় বাংলার বিভিন্ন জেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এরপর বৃহস্পতিবার হুগলির আরামবাগে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে এই পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

এদিন বরাহনগরে প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ তপন সিকদারের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “উনি কালকে বলেছেন না ডিভিসির সঙ্গে কাট-আপ করে দিতে। উনি কি জানেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের সাত থেকে আটটি রাজ্যে আলো জ্বলে, কারখানা চলে, ট্রেন যায় ডিভিসির বিদ্যুতে।

   

একটা নতুন পাওয়ার স্টেশন করতে পারেননি, এক ইউনিট বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারেননি। ডিভিসির উপর নির্ভর করেন আবার ডিভিসিকেই কাট-আপ করবেন বলেছেন।” তিনি জানিয়েছেন যদি আজকের মধ্যে ঝাড়খণ্ড সীমানা খুলে না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন।

যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন তাঁরা। তবে এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শুভেন্দু বলেছেন, “এক্ষুনি ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে দেখান মুখ্য়মন্ত্রী। রাজ্যের আটটি জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে।” সেইসঙ্গে ক্ষোভ উগড়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী ডেমোগ্রাফি জানেন না। ঝাড়খণ্ড বর্ডার আটকে দেওয়া হলে নাসিক থেকে পেঁয়াজ আসতে পারবে না।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের পণ্য পরিবহণও আটকে যাবে। আমি দুপুর দুটো পর্যন্ত দেখে নিয়ে তারপরেই অমিত শাহকে জানাবো। জাতীয় সড়ক বন্ধ করা যায় না। রাজ্যপালকেও গোটা বিষয়টা জানাব।” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য আগামী তিনদিন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তাঁর সেই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাংলা ও ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করে দেওয়া হয়।