বর্তমানে দামোদর অববাহিকায় ভীষণ রকম বন্যা (West Bengal Flood) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী ১৬ সেপ্টেম্বর ডিভিসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি কিছু। ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবে গেছে ঘাটালের দোতালা বাড়ি। ভেঙে গেছে রাজ্য সড়ক। ঘাটাল থানার সামনে এক কোমর জল। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বন্যা কবলিত স্থান পরিদর্শনে গিয়ে মন্তব্য করেন যে এটা ম্যান-মেড বন্যা। এই আবহেই কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চার পাতার চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। জানা গেছে, ২০০৯ সালের পর এটাই সব থেকে ভয়াবহ বন্যা।
এছাড়া, বন্যা কবলিত এলাকায় আজ অর্থাৎ শুক্রবার আরজি কর-সহ তিনটি মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধি দল যাচ্ছে। সঙ্গে করে তারা পানীয় জল এবং শুকনো খাবার নিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ণামঞ্চ থেকেই দুর্গতদের সাহায্য করার বার্তা দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারা কথা দিয়েছেন যে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন তারা।
লাইভ সম্প্রচার নিয়ে বিতর্কের মাঝেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক!
এই বন্যা পরিস্থিতির আবহে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ায় গিয়ে DVC-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।আর এই আবহেই তিন দিনের জন্য বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী বন্ধ করে দিলেন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঝাড়খণ্ড সীমানায় আটকে আছে পণ্যবাহী গাড়ি। ফলে বিপাকে পড়েছেন গাড়ি চালকরা। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ডুবুডি চেকপোস্টে আটকে আছে সারি সারি লরি।
ডিভিসির ‘প্রতিশোধ’, মমতার নির্দেশে ঝাড়খণ্ড সীমানা সিল হওয়ায় খাদ্য সংকটের আশঙ্ক
প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদান চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী চার পাতার চিঠিতে লিখেছেন, “অনিয়ন্ত্রিত, একতরফা এবং বিশাল পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে রাজ্যে দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। এর আগে ডিভিসি থেকে এত পরিমাণ জল মোটেই ছাড়া হয়নি। ২০০৯-এর পর দামোদর নিম্ন অববাহিকা ও সংলগ্ন অঞ্চল সবচেয়ে বড় বন্যার মুখোমুখি হয়েছে।” পাশাপাশি এই চিঠিতে এই বন্যা ‘ম্যান-মেড’ বলেও অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।