অনেক হয়েছে আর নয়, এবার কথায় কথায় বুলডোজার (Bulldozer Action) চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। আর সুপ্রিম কোর্টের এহেন রায়ে বেজায় খুশি বেশিরভাগ বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বুলডোজার চালানোর উপর ১ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত দেশে একটি বুলডোজারও চালানো যাবে না। আদালতের বক্তব্য, “আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে এই আদেশে রাস্তা, ফুটপাত, রেললাইনের অবৈধ দখলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।” এদিকে আদালতে এই নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সাংবিধানিক সংস্থাগুলির হাত এভাবে বাঁধা থাকতে পারে না।
অন্যদিকে পাল্টা বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ বলেছে, ‘দু’সপ্তাহ বন্ধ থাকলে আকাশ ভেঙে পড়বে না। আপনারা থামুন।’ পরবর্তী শুনানি আগামী ১ অক্টোবর হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া বুলডোজার চালানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আদালতের এই আদেশটি ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর পদক্ষেপ সম্পর্কে।
বেশ কয়েকটি রাজ্যে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে একগুচ্ছ আবেদনের শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত এই আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও কিছু ভাঙা হবে না। তবে জনসাধারণের রাস্তা, ফুটপাত, রেললাইন সংলগ্ন বা প্রকাশ্য স্থানে অননুমোদিত নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুরূপ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। আদালত বুলডোজার অ্যাকশনকে মহিমান্বিত করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আদালত বলেছে, এটা বন্ধ হওয়া উচিত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের কোথাও নির্বিচারে বুলডোজার চালানো নিষিদ্ধ করেছে আদালত। এ বিষয়ে গাইডলাইনও জারি করা হবে। পরবর্তী শুনানি ১ অক্টোবর। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২০২২ সালে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এই পদক্ষেপ কি আইনে নেওয়া হয়েছে? সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এখনও পর্যন্ত যে বুলডোজার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আইন মেনেই নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবারই শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ফৌজদারি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ আইনানুগ ভাবে নির্মিত বাড়ি ভাঙার কারণ নয়। আইনের শাসন শাসিত দেশে কর্তৃপক্ষের বাড়ি ভাঙার হুমকি উপেক্ষা করা যায় না বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে আদালত অন্তর্ঘাতমূলক কাজের হুমকি সম্পর্কে উদাসীন থাকতে পারে না যা এমন একটি দেশে অকল্পনীয় যেখানে আইন সর্বোচ্চ। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে তা দেশের আইনকে বুলডোজার হিসেবে দেখা যেতে পারে। আবেদনকারীর পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইকবাল সৈয়দের বক্তব্য শোনার পর আদালত এই পর্যবেক্ষণ দেয়।