মমতার পদত্যাগ দাবি করে সরকারি কর্মীদের সতর্কবার্তা শুভেন্দুর

অবশেষে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সোমবার নিজের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন চিকিৎসকরা। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে…

Shuvendu's tweet warns government employees on RG Kar Case

অবশেষে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সোমবার নিজের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন চিকিৎসকরা। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে বলে দু-তরফের থেকেই দাবি করা হয়। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার রাতের বৈঠকে আন্দোলরত চিকিৎসকদের দাবি মেনে স্বাস্থ্যের দু’জন পদস্থ কর্মকর্তাকে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।

সেইসঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার বিকেল ৪টের পর ধর্না অবস্থান তুলে নিতে পারেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেলের পর কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ কয়েকজন পুলিশ কর্তাকে সরানোর ঘোষণাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরে এদিনই বেশ রাতের দিকে এক্স হ্যান্ডেলে একটি টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

   

সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সতর্কবার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা। টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রস্তাব করে অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। ন্যায়বিচারের জন্য শুধুমাত্র কয়েকজন কর্মকর্তার বদলি যথেষ্ট হবে না। সাক্ষ্য বিকৃতিতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাদের কারাগারে ঢোকানো হবে। ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পর যা কিছু ঘটেছে তা কিছু কর্মকর্তার কাজ হতে পারে না।”

এরপরেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্তের দাবি তুলে লিখেছেন, “সকলেই জানেন যে পশ্চিমবঙ্গে, একটি পিন বা হাতি সরানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ এবং সম্মতি ছাড়া কিছু ঘটে না। তাই এই পুরো পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত দায়ী। তার শুধু পদত্যাগই নয়, পুরো বিষয়টিতে তার ভূমিকার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত।”

আর তারপরেই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সতর্ক করে তিনি লিখেছেন, “আমি সকল সরকারি কর্মচারীদের আরজি করের ঘটনা থেকে কিছু শিখতে অনুরোধ করব। যখন সময় আসবে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে বাঁচানোর জন্য আপনাদেরকে বলির পাঁঠা করবে। সুতরাং, আইনের বিধান এবং আমাদের সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসারে যথাযথতা বজায় রাখুন এবং আপনার দায়িত্ব পালন করুন।

না হলে পরেরবার সমস্ত দোষ আপনার কাঁধে চলে যাবে এবং পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য আপনাকে বলির পাঁঠা বানানো হবে।” সবশেষে শুভেন্দু অধিকারী সবাইকে আশ্বস্ত করে লিখেছেন যে, বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিজেপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে।