স্বদেশে ফিরে গেলেও হ্যামলির মন পড়ে কলকাতার বাগানে

গত জুলাই মাসেই ব্রেন্ডন হ্যামিলকে (Brendan Hamill) রিলিজ করেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। তিনি একানন সেই সময় আরও বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলারদের বিদায় জানিয়েছে…

Brendan Hamill Returns to Australia

গত জুলাই মাসেই ব্রেন্ডন হ্যামিলকে (Brendan Hamill) রিলিজ করেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। তিনি একানন সেই সময় আরও বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলারদের বিদায় জানিয়েছে মেরিনার্সরা।‌ পরিবর্তে দলে আনা হয় একাধিক হাইপ্রোফাইল ডিফেন্ডারদের। নয়া আইএসএল মরসুমে তাঁদের সামনে রেখেই খেতাব জয়ের লড়াই করছে মোহনবাগান। এছাড়াও দলে এসেছে বেশকিছু তরুণ ফুটবলার। অপরদিকে মোহনবাগান থেকে বিদায় নিয়ে পরবর্তীতে নিজের দেশে ফিরে যান হ্যামিল।

নয়া সিজনের জন্য যোগদান করেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ভিক্টরি ফুটবল ক্লাবে। কিছুদিন আগেই সেখানকার সোশ্যাল সাইট থেকে ঘোষণা করা হয় তাঁর যোগদানের কথা। কিন্তু একটা সময় তাঁকে নেওয়ার জন্য আইএসএলের বেশ কিছু ফুটবল ক্লাবের তরফ থেকে আগ্রহ দেখানো হলেও কথাবার্তা এগোয়নি বেশিদূর। শেষ পর্যন্ত নিজের দেশের ক্লাবেই আসতে দেখা যায় তাঁকে। পূর্বে একাধিকবার এই ফুটবল ক্লাবে খেলেছেন হ্যামিল। বলতে গেলে নিজের দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ারের একটা বিরাট সময় কাটিয়েছেন মেলবোর্ন ভিক্টরিতে।

   

এবার ফিরেছেন সেখানেই। তবে এ লিগের এই ফুটবল ক্লাবে ফিরলেও তাঁর মন হয়তো এখনও পড়ে রয়েছে সবুজ-মেরুনে। দিন কয়েক আগেই এ লিগের একটি সাক্ষাৎকারে মোহনবাগান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এই ফুটবলার। বিশেষ করে বাগানের জার্সিতে দলের অনুশীলনের কথা তুলে ধরেন ব্যাপকভাবে।তিনি বলেন, ” আমাদের ফুটবল ট্রেনিংয়ে প্রত্যেকদিন প্রায় একশোর বেশি সমর্থক থাকতো। যারা ট্রেনিংয়ের পর অটোগ্ৰাফ বা সেলফি তুলতে চাইতো। এটা সত্যিই একটি অসাধারণ বিষয় ছিল। ওদের সমর্থকরা সত্যিই অতুলনীয়।”

সেখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, ” আমি এবং দিমি যখন স্কুটারে করে ট্রেনিংয়ে যেতাম, তখন আমাদের স্কুটার থামিয়ে সমর্থকরা সেলফি তোলার চেষ্টা করতো। যা কখনও ভোলা সম্ভব নয়। এটা বিশাল, এটা আসলে সমর্থকদের আবেগ। সত্যিই তাঁরা অবিশ্বাস্য। শহরটিতে মূলত দুটি দল রয়েছে- ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। এটি একটি বিশাল বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেন একটা ধর্মও এর সাথে জড়িত।”