রবিবার অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় গ্রেফতারকৃত সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh Arrest) ও টালা থানার ওসি অভিজিৎকে আদালতে তোলা হয়। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন অ্যারেস্ট মেমো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিজিত মণ্ডল। তিনি বলেন যে, তাকে মোট ৬ বার নোটিস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাকে জানানো হয়নি যে তিনি অভিযুক্ত নাকি সাক্ষী। তার শারীরিক অবস্থার কথাও জানান তিনি। অভিজিতের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন তোলেন যে কিসের ভিত্তিতে তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে সেই কথাও স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই কোথাও।
সন্দীপ-অভিজিতের ‘বৃহত্তর-ষড়যন্ত্রে’ রয়েছে, আদালতে দাবি সিবিআইয়ের
এরপরই সিবিআই-এর গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন করেন টালা থানার ওসি অভিজিতের আইনজীবী। আইনজীবী স্পষ্ট উল্লেখ করেন যে কর্তব্যে গাফিলতির কথা বলতেই পারে সিবিআই। সেক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্ত করা যেত। আজ আদালতে সন্দীপ ঘোষের গাফিলতির অভিযোগও তুলেছে সিবিআই। সিবিআই আদালতে বলে যে মেডিক্যাল কলেজের সর্বোচ্চ পদে ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত ছিল। সন্দীপ এবং অভিজিৎকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় গতকাল অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর তাকে আরজি করের দুর্নীতি মামলায় এসিবি গ্রেফতার করেছিল। গতকাল শুধু সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই, টালা থানার ওসিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।