হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ পেল বিপুল মার্কিন ডলারের সাহায্য, কত মিলিয়ন?

কখনো পদ্মা, কখনো যমুনা-বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার এই দুই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় প্রবল ব্যস্ততা। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পতনের পর সফরে আসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সংস্থা…

কখনো পদ্মা, কখনো যমুনা-বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার এই দুই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় প্রবল ব্যস্ততা। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পতনের পর সফরে আসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সংস্থা ইউএসএআইডি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠক হল দুটি ভবনেই। যমুনা ভবনে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

আর পদ্মা ভবনে সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের স‌ঙ্গে মা‌র্কিন প্রতি‌নি‌ধিদ‌লের বৈঠক হয়। এই বৈঠক শে‌ষে ইউএসএআইডির উপসহকারী কর্মকর্তা অঞ্জলি কাউর জানান, আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এর আওতায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়। আমরা এখন চুক্তি অনুযায়ী কাজ করবো। এই চুক্তি মূলত সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য।

   

ইউএসএআইডির উপ-সহকারী ব‌লেন, এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখবে। বি‌শেষ ক‌রে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করার ক্ষে‌ত্রে। আমরা স্বাস্থ্য, শাসন ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তরুণদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে তারা যাতে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে সেদিকে নজর দিচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণ এখানে মূল অগ্রাধিকার। 

ইউএসএআইডি জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। এখনো পর্যন্ত ৪২৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। আগামীতে ইউএসআআইডি ২০২.২৫ মিলিয়ন অনুদান দেবে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ সাহায্য বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছেন। এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আছেন মার্কিন বিদেশ বিভাগের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। রবিবার তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ হয়।

ঢাকা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক মহলের ইঙ্গিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের সন্ধিক্ষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এক দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। ওয়াশিংটনের প্রতিনিধিদলের এবারের বাংলাদেশ সফরে অর্থনীতিতে অগ্রাধিকার থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাজনীতি দুই দেশের সম্পর্কের বড় নিয়ামক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।