সমাধান খুঁজে পাওয়া কঠিন, মুখ্যমন্ত্রীকেই দোষ দিলেন শুভেন্দু!

জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথোপকথনের বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গতকাল অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যেবেলা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে…

Doctors-protest

জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথোপকথনের বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গতকাল অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যেবেলা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৈঠক হয়নি। কারণ সেই লাইভ স্ট্রিমিং।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যভবন অভিযানের সময় জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেল মারফত নবান্নে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানো হলে, তারা চারটি শর্তের কথা বলে। সেই চারটি শর্তের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য লাইভ স্ট্রিমিং-এর কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু, আরজি কর কাণ্ডটি যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় আছে, তাই এই ঘটনার লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। এই যুক্তিই দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, লাইভ স্ট্রিমিং না হওয়ায় নবান্ন থেকে বাসে করে স্বাস্থ্যভবনেই ফায়ার আসেন আন্দোলনকারীরা।

   

এরপর গতকাল, দুপুর ১টা নাগাদ হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী ধর্ণামঞ্চে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে তিনি আন্দোলনকারীদের কর্মবিরতি তুলে নেবার কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন যে কারোর বিরুদ্ধে তিনি কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেবেন না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, জুনিয়র ডাক্তাররা আলোচনায় বসতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল পাঠান। কিন্তু সেই ইমেলে কোনওরকম লাইভ স্ট্রিমিং-এর কথা উল্লেখ ছিল না।

ফলে মুখ্যমন্ত্রী লাইভ স্ট্রিমিং-এর বিষয়ে সম্মতি না দিলেও, ভিডিও রেকর্ডিং-এর জন্য অনুমতি দেন। তিনি মিনিটস অফ মিটিংস-এ দ্বিপাক্ষিক সই-এর কথাও বলেছিলেন। কিন্তু, আন্দোলনকারীরা দীর্ঘক্ষণ সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীসহ বাকি সরকারি আধিকারিকেরা বেরিয়ে যান। হয়না বৈঠক। তারপর আন্দোলনকারীরা বলেন তারা নাকি বৈঠক করতে চাইলে তাদের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এইসব প্রসঙ্গে এবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর ‘আমিত্ব;-কে তুলে ধরে তিনি তার সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “আমি, আমি, আমি, আমার”…

৯ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ৭৬ বার।

গতকাল স্বাস্থ্য ভবনের কাছে তাদের অস্থায়ী শিবির পরিদর্শন করার সময় জুনিয়র ডাক্তারদের সম্বোধন করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতবার নিজের কথা উল্লেখ করেছিলেন এবং নিজের সম্পর্কে গর্ব করেছিলেন।

এটি তার ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন আত্মকেন্দ্রিক মেগালোম্যানিয়াক। এই কারণেই অচলাবস্থাকে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে শেষ করার জন্য সমাধান খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।”