গণধর্ষণের ছক? নিজেকে বাঁচাতে ডাক্তারের গোপনাঙ্গ কেটে পালালেন নার্স!

আরজি কর-কাণ্ডে বর্তমানে সমগ্র দেশ উত্তাল হয়ে রয়েছে। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে মহিলা চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার…

আরজি কর-কাণ্ডে বর্তমানে সমগ্র দেশ উত্তাল হয়ে রয়েছে। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে মহিলা চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার মাঝেই ফের একবার শিরোনামে হাসপাতাল। এবার বিহারে (Bihar) এমন এক ঘটনা ঘটল যা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে। বিহারের এক নার্স সার্জিক্যাল ব্লেড দিয়ে এক চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, এক চিকিৎসক ও তাঁর দুই সঙ্গী ওই নার্সকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার সঞ্জু-সহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুরে। বেগুসরাই জেলার ডাঃ সঞ্জয় কুমার সঞ্জু, বৈশালী জেলার সুনীল কুমার গুপ্তা এবং মাঙ্গরা এলাকার অবধেশ কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন নার্স।

   

নার্সের অভিযোগ, তিনজন মদ্যপান করেছিলেন এবং এরপর মদ্যপ অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুর্ব্যবহার শুরু করেছিলেন। সঞ্জু প্রথমে নার্সকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই নার্স হাতে থাকা সার্জিক্যাল ব্লেড তুলে চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ কেটে দেন। পরে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। একটি মাঠে লুকিয়ে থাকার পর ওই নার্স পুলিশে খবর দেয়।

এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই এসপি বিনয় তিওয়ারির নেতৃত্বে একটি দল হাসপাতাল থেকে ওই চিকিৎসক ও তার সহযোগীদের  গ্রেফতার করে।

আহত চিকিৎসক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ যখন মহিলাকে খুঁজে পায়, তখন তিনি একটি মাঠে লুকিয়ে ছিলেন। জানা গিয়েছে, ওই নার্স গত ১০-১৫ মাস ধরে হাসপাতালে কাজ করছিলেন। তিনি পুলিশকে জানান যে তিনি তার প্রতিরক্ষায় ডাক্তারের উপর একটি সার্জিক্যাল ব্লেড ব্যবহার করেছিলেন।

ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে রক্তমাখা বিছানার চাদর, মোবাইল ফোন ও মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজও। তবে পুলিশ লক্ষ্য করে, ইচ্ছা করে ঘটনার দিন সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও বন্ধ ছিল। কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালের সেমিনার হলে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেই এই ঘটনা ঘটল। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিল ভলান্টিয়ার ভোর ৪টে ৩ মিনিটে ঘরে ঢুকে ওই মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করে বলে অভিযোগ।