দুপুরেই ঘনিয়ে এল দুর্যোগ,ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল কলকাতায়

আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কাই যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া দাপটে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি (Rainfall) নামল কলকাতা শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। কালো মেঘের আড়ালে…

rain kolkata

আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কাই যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া দাপটে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি (Rainfall) নামল কলকাতা শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। কালো মেঘের আড়ালে মুখ ঢেকে গিয়েছে শহরের। সেইসঙ্গে দাপট দেখা যাচ্ছে বজ্রবিদ্যুতেরও। এক কথায় আজ শুক্রবার থেকেই তুমুল বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করল কলকাতা সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ।

তবে এখানেই কিন্তু শেষ নয়, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। মিয়ানমারের ওপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে গিয়েছে এবং সেখানেই অবস্থান করছে। এর জেরে আজ ও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতা সহ সমগ্র বাংলা বানভাসি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস।

   

অন্যদিকে বাংলাদেশে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরির আশঙ্কা করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এর জেরে আজ ও আগামীকাল শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে। আজ বিকেলে দিকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে।

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ৩ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, কলকাতায় , বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, কোথাও স্থানীয়ভাবে টর্নেডো তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর। উত্তর -পূর্ব বঙ্গোপাসাগরে ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলের কাছে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অবস্থান করছে। এবং এটি ক্রমেই শক্তি বৃদ্ধি করছে।

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, “একটি ঘূর্ণাবর্ত মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত, যা মধ্য-ট্রপোস্ফেরিক স্তর পর্যন্ত প্রসারিত। এটি আগামী দুই দিনের মধ্যে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে।”