এবছর কনকনে ঠাণ্ডা পড়বে, জোড়া সতর্কবার্তা WMO-IMD-র

বর্তমান সময়ে বাংলা সহ সমগ্র দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বর্ষার মরসুম। তবে এই বর্ষার মরসুমও শেষ হওয়ার মুখে। এরপরেই চলে আসবে অনেকের প্রিয় ঋতু শীতকাল। অন্যান্য…

winter

বর্তমান সময়ে বাংলা সহ সমগ্র দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বর্ষার মরসুম। তবে এই বর্ষার মরসুমও শেষ হওয়ার মুখে। এরপরেই চলে আসবে অনেকের প্রিয় ঋতু শীতকাল। অন্যান্য বছরের মতো এই বছরের শীতটা (Winter Season) দেশবাসীর একটু আলাদাই কাটতে চলেছে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে আইএমডি। চলতি বছরে গ্রীষ্মের সময়ে যেমন রেকর্ড গরম পড়েছিল, ঠিক সেভাবেই এই বছর কনকনে ঠাণ্ডাও পড়বে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস।

এই বছর ভারতে প্রচুর গরম ছিল এবং বৃষ্টিও অনেক রেকর্ড ভেঙেছে। এক টানা ভারী বৃষ্টিতে অনেক রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। পাহাড় থেকে সমতল, অনেক জায়গায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ বা আইএমডি আগামী দিনগুলিতে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা WMO এই শীতের পূর্বাভাস জারি করেছে।

   

আপনিও যদি শীতপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে জানলে খুশি হবেন, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বিজ্ঞানীরা বলছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ লা নিনার প্রভাব ৬০ শতাংশ হবে। যার কারণে এ বছর উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীত পড়ার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহও বেশি হবে। লা নিনার বিকাশ ঘটলে প্রশান্ত মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কম হলে ঠান্ডাও বেশি থাকবে।

তবে লা নিনার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শীত পড়বে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করেনি ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। প্রতিটি লা নিনার প্রভাব তার তীব্রতা, সময়কাল, বছরের সময়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। তবে লা নিনা এবং এল নিনোর মতো প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া জলবায়ু ঘটনাগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল।

এই প্রসঙ্গে ডব্লিউএমও মহাসচিব সেলেস্তে সাউলো বলেন, ‘২০২৩ সালের জুন থেকে আমরা স্থল ও সমুদ্রের তাপমাত্রায় বৃদ্ধির প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। এমনকি যদি এটি স্বল্পস্থায়ী হয়, তবে এটি বায়ুমণ্ডলে তাপকে আটকে রাখা গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক তাপমাত্রার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবকে প্রশমিত করতে পারে না। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত লা নিনার সমুদ্রপৃষ্ঠ শীতল হওয়ার প্রভাব সত্ত্বেও গত ৯ বছর ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।’