জাতি সংঘর্ষে রক্তাক্ত মণিপুর। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে (Manipur violence) বিজেপি শাসিত রাজ্যে নিহত এক ডজনের বেশি বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজ্যপাল লক্ষ্ণণ প্রসাদ আচার্য রাজ্য ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি অসমে থাকছেন। রাজনৈতিক কটাক্ষ, নিরাপত্তার ভয়ে রাজ্যপাল পলাতক। মণিপুরের রাজ্যপালের গুয়াহাটিতে থাকার বিষয়ে অসম রাজ্যের বিজেপি সরকারও নীরব।
বিরোধ মেটাতে বিকেল ৫ টায় জুনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের আমন্ত্রণ রাজ্যের
সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট, মণিপুরের রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন ছাত্র ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের একদিন পর গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য বুধবার গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে ইম্ফল ত্যাগ করেছেন। মণিপুরের রাজভন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইম্ফলসহ বেশকিছু সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় চলছে কারফিউ।
কারফিউর দ্বিতীয় দিন মণিপুরে নতুন করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাজ্যের পরিস্থিতি থমথমে। বুধবার সকালে কারফিউর মধ্যে ইম্ফলের রাজভবন ছেড়ে কড়া নিরাপত্তা নিয়ে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। রাজভবন থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার পথে প্রচুর নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়। ইম্ফল থেকে বিমানে তিনি গুয়াহাটি পৌঁছন।
আরজি কর ইস্যুতে ‘রাজনৈতিক’ পোস্ট, শতরূপের নিশানায় পাটুলি থানার ওসি
উল্লেখ্য, গত মাসে মণিপুরের পূর্ণ সময়ের রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকিকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্রের মোদী সরকার। এ রাজ্যে আংশিক সময়ের রাজ্যপাল হিসেবে লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্যকে নিয়োগ করা হয়। তাঁকে মণিপুরের পাশাপাশি অসমের রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, রাজ্যপাল হিসেবে শপথের পর বেশিরভাগ সময়ই মণিপুরেই থাকতেন লক্ষ্ণণ প্রসাদ আচার্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদকারী ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি রাজভবনে কথা বলেন। ছাত্রদের দাবি ছিল, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কেন্দ্রের নিয়োগ করা নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরাতে হবে এবং ইউনিফায়েড কমান্ডের পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে হবে।
লরির সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষ, মৃত শিশু সহ পাঁচ
সেই বৈঠকের পরমঙ্গলবার রাতে রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয় “ছাত্রদের দাবি মেনে রাজ্যপাল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন”। ছাত্রদেরকে শান্ত থাকতে বিবৃতিতে আহ্বান জানান রাজ্যপাল। বুধবার সকালেই মণিপুর ছেড়ে চলে যান রাজ্যপাল।
কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে রক্তাক্ত মণিপুর। গত এক বছর ধরে শত শত নিহত।