রাজ্য-জুনিয়ার ডাক্তারদের মধ্যে অব্যাহত ইমেল-চাপানউতোর। বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নে এই ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের (RG kar protest) প্রতি বার্তা দিল রাজ্য প্রশাসন। এদিন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattachariya) বলেন, “গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে অপেক্ষা করেছিলেন দাবি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। খোলা মন নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা চাই দোষী শাস্তি পাক। কিন্তু এই আন্দোলন-কর্মবিরতিতে (RG kar protest) ব্যাহত হচ্ছে রোগী পরিষেবা। কিন্তু গতকাল আলোচনার জন্য এলেন না কেন আন্দোলনকারীরা।
পাল্টা ইমেলে চার দফার শর্ত, মানলেই বৈঠক!
তিনি আরও বলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ( Mamata Banerjee) রাত ৩ টে ৪৫ কখনও মেল করে? দুপুরে মুখ্যসচিব পাল্টা মেল করেন। কিন্তু ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।” চন্দ্রিমা ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও ডিআইজি রাজীব কুমার।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, জুনিয়ার ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেছিলাম। মেল করে গঠনমূলক আলোচনার জন্য সন্ধ্যা ৬ টায় ডেকেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনক ওরা বৈঠকে আসেনি, আজ আবার মেল পেয়েছি।
শ্রীঘরেই বাস ‘গুণধর’ সন্দীপের, প্রেসিডেন্সিতেই সারলেন ব্রেকফাস্ট!
চন্দ্রিমা আরও বলেন, ” আশা করি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মান্য করে কাজে ফিরবে, মানুষকে পরিষেবা দেবে। গরিব মানুষ যাতে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়, বিষয়টি দেখুন।মেল করে গঠনমূলক আলোচনার জন্য সন্ধ্যা ৬ টায় ডাকা হয়েছিল। কেউ এল না কেন? জুনিয়ার ডাক্তাররা আলোচনা চান, কিন্তু কোনও শর্ত রেখে আলোচনা করা যায়না। খোলা মনে আলোচনা করতে চান না আপনারা। তাই এই শর্তগুলি আরোপ করা হচ্ছে। এখানে রাজনীতির খেলা রয়েছে। জুনিয়ার ডাক্তারদের রাজনীতির উস্কানিতে না জড়িয়ে নিজের নোবেল প্রবেশনের মর্যাদা দিন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানুন। বুধবার নবান্ন থেকে জুনিয়ার ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিলেন চন্দ্রিমা।
ভিড় সামলাতে হিমশিম, হাওড়া-এস্প্ল্যানেড মেট্রোর সময়সূচি বদল
অন্যদিকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ইস্যুতে রাজ্যের ডিআইজি রাজীব কুমার বলেন পুলিশ হাসপাতালের সুরক্ষা বাড়ানোর কাজ করছে, ওরা কাজে ফিরলেই পরিবর্তন দেখতে পাবে।
রাজ্যের বার্তার প্রসঙ্গে জুনিয়ার ডাক্তারদের পাল্টা দাবি, এটা কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। কোনও রাজনৈতিক দলের ইন্ধন নেই। এটা নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াই। মানুষের সমর্থন রয়েছে। আমরা আমাদের দাবিতে অনড় থাকব। আমরা চাই আলোচনা হোক এবং গঠনমূলক সমাধান বের হোক।