শ্রীঘরেই বাস ‘গুণধর’ সন্দীপের, প্রেসিডেন্সিতেই সারলেন ব্রেকফাস্ট!

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar) আর্থিক কেলেঙ্কারীতে ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল এই কলেজেরই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। ৯ সেপ্টেম্বর…

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar) আর্থিক কেলেঙ্কারীতে ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল এই কলেজেরই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। ৯ সেপ্টেম্বর আলিপুরের বিশেষ আদালতের শুনানিতে তাকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি আছেন প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail)।

প্রেসিডেন্সির ১০ নং জেলে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। তাঁকে প্রথম রাখা হয়েছিল ২২ থেকে ৪৪ নং ওয়ার্ডের ২৬ নং সেলে। এরপর তাঁকে ‘পয়লা ২২’ নং ওয়ার্ডের ১০ নং সেলে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সর্বক্ষণ মোতায়েন রয়েছে একজন নিরাপত্তারক্ষী।

   

সকালের ব্রেকফাস্টও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই একই ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং আফসর আলিকে। তবে তাঁরা রয়েছেন আলাদা আলাদা সেলে। আপাতত, ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তাঁরা। চাইলেও সঙ্গীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবেন না কেউ।

জুনিয়র ডাক্তারদের চিঠি পাঠালেন মুখ্যসচিব

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে মুখোমুখি জেরার জন্য আরও সাত দিন সন্দীপদের সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হতে পারে। বিশেষ আদালতের পক্ষ থেকে সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এই কারণেই নিজাম প্যালেস ছেড়ে প্রেসিডেন্সির কারাগারের পেছনেই আপাতত রাত কাটাচ্ছেন সন্দীপ।

প্রসঙ্গত, ৯ আগস্ট-এর পর থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) ঘিরে তুমুল উত্তেজনা শুরু হয়েছিল। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে সন্দীপকে বদলি করা হলে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে রাজ্য সরকারকে চিঠি ফিরিয়ে নিতে হয়। টানা ১৬ দিন জেরার পরে, সিবিআই-এর (CBI) দুর্নীতি দমনকরি শাখার হাতে গ্রেফতার হয়ে আপাতত শ্রীঘরেই রয়েছেন গুণধর সন্দীপ।