পুলিশি হেনস্থায় ‘চাক্কা জ্যাম’ ট্রাক চালকদের, বাজার ‘আগুনে’র আশঙ্কা

পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে ৭২ ঘন্টা ট্রাক ধর্মঘটের ডাক ট্রাক মালিক সংগঠনের (Truck Drivers Strike)। আর ট্রাক চালকদের এই ‘চাক্কা জ্যামে’র আঁচ পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে…

truck drivers strike

পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে ৭২ ঘন্টা ট্রাক ধর্মঘটের ডাক ট্রাক মালিক সংগঠনের (Truck Drivers Strike)। আর ট্রাক চালকদের এই ‘চাক্কা জ্যামে’র আঁচ পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে বাজারেও। আনাজের যোগান থমকে যাওয়ায় ফের দাম বাড়তে পারে আলু-পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজিগুলির। মনে করা হচ্ছে, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি বাজারে এর প্রভাব পড়তে চলেছে।

তবে শুধু সবজির ক্ষেত্রেই নয়, এর পাশাপাশি মাছ, ডিম ও বিভিন্ন ফলের পাইকারি বাজারেও জোগানে টান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর জোগানও ব্যাহত হতে পারে। এর জন্য তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যের সংগঠনের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যাতে এই ধর্মঘট চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গে ট্রাক না পাঠানো হয়।

   

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ট্রাকমালিক সংগঠনের ডাকে রাজ্যে এই ধর্মঘট চলবে বলে জানা গেছে। কিন্তু কেন এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হল? জানা যাচ্ছে, ট্রাকমালিক সংগঠন দাবি করে জানিয়েছে, রাস্তায় পুলিশি নির্যাতন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট, রাজ্যের বালি খাদানগুলিতে ভূমি রাজস্ব আধিকারিকদের দ্বারা হয়রানির পাশাপাশি একাধিক ওয়ে ব্রিজে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টাকা আদায়ের বিরুদ্ধে ওই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

তবে প্রশাসন সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরিবহণ দফতর পরিস্থিতির উপরে নজর রাখার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে ধর্মঘট করলে কিংবা ট্রাক আটকানোর চেষ্টা হলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এই ৭২ ঘন্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’। তবে এ রাজ্যের ট্রাকমালিক সংগঠনের ডাকা ওই ধর্মঘটে সায় দিয়েছেন অনেকে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের দু’টি সংগঠন এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে ট্রাক পাঠাবে না। অন্যদিকে সর্বভারতীয় সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস’-ও নৈতিক ভাবে রাজ্যের সংগঠনের ওই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে।