বনগাঁ থানার পুলিশের তৎপরতায় ভুয়ো আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড তৈরির বড় চক্রের হদিশ পাওয়া গেল। সূত্রের খবর, বেআইনিভাবে তৈরি ঐসব ভারতীয় পরিচয়পত্র যেমন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বিক্রি হতো হাজার হাজার টাকায়। সুকপুকুরিয়া এবং হরিদাসপুরের দুই বাসিন্দা জড়িত ছিল এই চক্রের সঙ্গে।
ইতিমধ্যেই, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। বনগাঁ মহকুমা আদালতের নির্দেশে তাদের পুলিশি হেফাজতে পাঠাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের নাম রাকেশ মণ্ডল এবং দিব্যেন্দু সরকার।
সূত্র মারফত জানা গেছে ৯ সেপ্টেম্বর তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং এক ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। তাদের সূত্র ধরেই এই চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। একটি অনলাইন শপেই চলতো এই চক্র। বনগাঁ শহরের গান্ধীপল্লি এলাকায় অবস্থিত ছিল এই দোকানটি। হদিশ পাবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত স্থানে গিয়ে বেশকিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
আরজি করে চিকিৎসা সংকট, শাসকদলের লম্বা পোস্টে উঠে এলো জীবন বাঁচানোর উপদেশ
ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশকিছু ভুয়ো পরিচয়পত্র, একটি কম্পিউটার এবং একটি ল্যাপটপও। জানা গেছে যে, জাল সচিত্র ভোটার পরিচয় ২ হাজার টাকায়, রেশন কার্ড ৫০০ টাকায়, আধার কার্ড ১ হাজার টাকা, প্যান কার্ড ১৫০০ টাকায় বিক্রি করতো তারা। ‘পার্টির’ প্রয়োজন ও দাম বুঝে ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে টাকা চাইতো তারা। এখনও পর্যন্ত এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদের খোঁজ চলছে।