দুর্গাপুজোর আগে সন্দেশখালিতে দুর্গা প্রতিমার ভাস্কর্য ভাঙার অভিযোগ, সরব শুভেন্দু

বুধবার সকাল সকাল গুরুতর অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নতুন করে বাংলাদেশের সঙ্গে বাংলার তুলনা টানলেন তিনি। রীতিমতো বাংলাদেশের ধাঁচে এবার পশ্চিমবঙ্গেও…

বুধবার সকাল সকাল গুরুতর অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নতুন করে বাংলাদেশের সঙ্গে বাংলার তুলনা টানলেন তিনি। রীতিমতো বাংলাদেশের ধাঁচে এবার পশ্চিমবঙ্গেও দেব-দেবীর মূর্তি ভাঙা হচ্ছে বলে দাবি করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

সামনেই রয়েছে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যে শহর থেকে জেলা, কিংবা দেশ, বিদেশের নানা প্রান্তে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। জায়গায় জায়গায় প্যান্ডেল বাঁধা হচ্ছে, দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু এসবের মাঝেই বাংলায় এক নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটে গেল। তাও কিনা আবার সন্দেশখালিতে। আর তা নিয়েই এবার গর্জে উঠলেন শুভেন্দু। তিনি আজ বুধবার বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে দেব-দেবীর মূর্তি ভাঙার বাংলাদেশি সংস্কৃতি সংক্রামকভাবে ঢুকে পড়েছে প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গেও! গতকাল সন্দেশখালির ‘মাঝের সরবেরিয়া নিউ মিলন সংঘ’ ক্লাবের সদস্যরা এটা জানতে পেরে অবাক হয়ে জানতে পারেন যে দুর্গা প্রতিমার ভাস্কর্য তৈরি করা হচ্ছে, সেটি ভাঙচুর করেছে কিছু দুষ্কৃতী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত মাঝের সরবেরিয়া গ্রামে।’

   

এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শুভেন্দু। তিনি জানান, ‘ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে সম্ভবত স্থানীয় পুলিশ সম্ভবত সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করবে না কারণ তারা তৃণমূলের ভোট ব্যাংক গঠন করে এবং সরাসরি শাসক দলের আশ্রয়ে রয়েছে। কয়েকজন গ্রামবাসী বলছেন, এর আগে মুনচুর মোল্লা ও ফজের আলী মোল্লা (অবৈধ বাংলাদেশি রোহিঙ্গা) গ্রামের মন্দির ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছিল। তারা তৃণমূলের উপপ্রধান যাদব মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।’

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই রীতিমতো সংবাদ শিরোনামে টিকে রয়েছে সন্দেশখালি। প্রথমেই রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি শাহজাহান শেখের বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। এরপর ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায়।

মাঝের কিছুটা সময় যেন প্রতিবাদের আখড়া হয়ে উঠেছিল এই সন্দেশখালি। ইডির উপর হামলার ঘটনার মাসখানেক পরে শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে জমি দখল ও অত্যাচারের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন সন্দেশখালি এলাকার বহু মানুষ। এদিকে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গা ঢাকা দেওয়ার পরেও শেষ রক্ষা হয় না তৃণমূলের দাপুটে নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের। এরপর মিনাখাঁ থেকে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শাহজাহান। এরপরে গ্রেফতার হয় তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোরা।