RG Kar Case: আরজি কর’কে পাথেয় করে আখের গোছাবে বিজেপি, পুজোয় ‘গা-গরম’ কর্মসূচি

৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে আন্দোলন ভুলে উৎসবে মেতে ওঠার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর তীব্র বিরোধিতা করে নতুন করে প্রতিবাদের রূপরেখা সাজিয়েছে বিজেপি।…

short-samachar

৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে আন্দোলন ভুলে উৎসবে মেতে ওঠার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর তীব্র বিরোধিতা করে নতুন করে প্রতিবাদের রূপরেখা সাজিয়েছে বিজেপি। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। মা দূর্গা মর্ত্যে আসতে চলেছেন। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা এবং মাঠের ধারে সদ্য গজিয়ে ওঠা কাশফুল সেই বার্তা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শহরের মন ভালো নেই। কল্লোলিনী তাঁর ‘তিলোত্তমা’-কে হারিয়েছে। তাই আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে রোজ পথে নামছে হাজার হাজার মানুষ। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফেরার মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

   

পদ্ম শিবির এই বিষয়ের তীব্র প্রতিবাদ করেছে। সূত্রের খবর, সোমবার অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর রাতেই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতারা। কিছুতেই প্রতিবাদ স্তিমিত হতে দিতে চান না তাঁরা। তারা জানিয়েছেন যে এই আন্দোলনকে শুধু কলকাতায় সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না, ছড়িয়ে দিতে হবে গোটা রাজ্যে। আরও জানা গেছে যে, পুজো শুরু হলেও জেলায় জেলায় চলবে আন্দোলন। আর এই ক্ষোভের আগুনকে জ্বালিয়ে রাখার দায়িত্ব নিতে হবে বিজেপির নীচুতলার কর্মীদেরই। এটি ‘গা-গরম’ কর্মসূচি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বিজেপির সল্টলেকের রাজ্য দফতরে বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে এবার আরও জোরদার করে তুলতে হবে জেলার আন্দোলন। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু ঘোষণা না করা হলেও, সূত্র মারফত দলের অন্দর থেকে এই বার্তাই পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারা উপস্থিত না থাকতে পারলেও, স্থানীয় নেতা এবং বিধায়কদের উপস্থিতিতে রেলস্টেশন, বড় বাসস্ট্যান্ড এবং বাজার এলাকায় পথসভার আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই সব পথসভায় শুধু রাজ্যের আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Case) নয়, সব দুর্নীতির কথাই বলবে বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে মনে করা হয়েছে, জেলায় জেলায় এই প্রতিবাদের ঝড় তুলে মানুষকে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। এই সব পথসভার দায়ভার নেবার জন্য জেলার নেতাদের প্রস্তুত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।