উত্তরবঙ্গ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সেই ‘থ্রেট কালচার’-এর চিত্র এবার উঠে এল বর্তমানে কলকাতার সবচেয়ে বিতর্কিত হাসপাতালে। আর সেই হাসপাতাল যে আরজি কর (RG Kar Case) তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফের আরজি করে জন্ম নিল এক নতুন বিতর্ক। এদিকে গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কলকাতার বহু পরিচিত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল আরজি কর।
সেই নৃশংস ঘটনার বিচারের দাবিতে রাজপথে প্রতিনিয়ত আন্দোলনে নামছে মানুষ। সবমিলিয়ে আরজি করের এই ঘটনা নিয়ে বর্তমানে ফুঁসছে গোটা বাংলা। এর মধ্যে সেই হাসপাতাল নিয়ে উঠল এক নতুন অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, এই হাসপাতালে এখন ভয় দেখানোর অভিযোগে সরব হয়ে উঠেছে চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছে যে, হাসপাতালের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন কয়েক জন চিকিৎসক। ফলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা অভিযোগও জমা করেছে। আর সেই অভিযোগ পত্র থেকে এবার উঠে এল বেশ কয়েক জন অভিযুক্তের নাম। হাসপাতালে ভয় দেখানোর বিষয়টি সোমবার স্পেশ্যাল কাউন্সিল বৈঠকে তোলেন রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরজি কর কলেজের অধ্যক্ষের অফিস থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই অভিযোগের কথা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, তদন্ত কমিটি গড়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই অভিযোগ পত্রতে প্রায় ৫১ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই তালিকায় থাকা অভিযুক্তদের তলব করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই তালিকায় আছেন হাউসস্টাফ, ইন্টার্ন চিকিৎসক থেকে শুরু করে কয়েক জন চিকিৎসক পড়ুয়া। দেখা যাচ্ছে, ওই চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’।
বুধবারের মধ্যে তাঁদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের (RG Kar Case) সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ‘হুমকি ও শাসানির সংস্কৃতি’র অভিযোগ এর আগেই উঠেছিল। সেই নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।