Manipur Violence: মণিপুরী মহিলাদের ‘রাত দখল’, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ

হাজার হাজার মহিলা রাস্তায়। মশাল জ্বালিয়ে প্রতিবাদী মণিপুরী মহিলাদের দাবি, জাতি বিদ্বেষে রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করা চলবে না। জাতি সংঘর্ষে রক্তাক্ত এ রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে…

হাজার হাজার মহিলা রাস্তায়। মশাল জ্বালিয়ে প্রতিবাদী মণিপুরী মহিলাদের দাবি, জাতি বিদ্বেষে রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করা চলবে না। জাতি সংঘর্ষে রক্তাক্ত এ রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ তুঙ্গে। মেইতেই ও কুকি দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে (Manipur Violence) গত কয়েকদিনে একাধিক নিহত। বিগত এক বছরের বেশি সময়ে মণিপুরে শত-শত নিহত। বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। প্রবল চাপের মুছে মণিপুরের বিজেপি সরকার।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনভর বিক্ষোভে উত্তপ্ত মণিপুর। রাজধানী ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন মুখে দাবি করলেও বাস্তবে শান্তি ফেরাতে পারেনি বিজেপির সরকার। একই দাবি করেছে প্রদেশ কংগ্রেস।  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিংয়ের কটাক্ষ, এ রাজ্যে শান্তি ফিরছে বলে দাবি করলেও প্রধানমন্ত্রী মোদী আসছেন না কেন। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে দরকার রাহুল গান্ধীর মত নেতা।

   

মণিপুরে চলমান সংঘাতের সমাধানে বিজেপি  সরকারের ভূমিকা  জনসাধার হতাশ বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে।

PTI জানাচ্ছে, ইম্ফলসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিশাল বিশাল মশাল মিছিল হয়। ইম্ফলের সন্নিকটে বিরাট সমাবেশের আয়োজন করা হয়। গত 16 মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে সঙ্কট। ইম্ফলের প্রতিবাদকারীরা  রাজভবন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের মতো সংবেদনশীল এলাকাগুলি এড়িয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার পর্যন্ত মিছিল করেন।

PTI আরও জানাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা মণিপুরের ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এবং শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের স্লোগানগুলির মধ্যে রয়েছে, “মণিপুরকে বিচ্ছিন্ন করবেন না,” “আমরা শান্তি চাই,” এবং “মণিপুর দীর্ঘজীবী হোক।” বিক্ষোভকারীরা গ্রাম স্বেচ্ছাসেবকদের মুক্তি, পুলিশ মহাপরিচালক এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণ এবং রাজ্য সরকারের কাছে একীভূত কমান্ড হস্তান্তরের জন্যও আহ্বান জানিয়েছে। তারা উপত্যকার জেলাগুলিতে চিরুনি অভিযানের বিরোধিতা করে।

BBC জানাচ্ছে,মণিপুরের মেইতেই ও কুকি দুই জনগোষ্ঠী পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে। দুই গোষ্ঠীর নেতৃত্বর তরফে কেন্দ্র সরকারের কাছে বার্তায় বলা হয়েছে, রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উদ্বেগজনক।

মায়ানমারের সীমান্তে থাকা মণিপুরের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত। রাজ্য পুলিশের তথ্য দিয়ে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতি সংঘর্ষে এ রাজ্যে বিপুল পরিমাণে বিদশি আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিবদমান দুই জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা গোপন ডেরা ও ঘরে ঘরে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করাচ্ছে। ড্রোন বোমার ব্যবহারে উদ্বিগ্ন রাজ্য পুলিশ। মণিপুরের অ়ভ্যম্তরীণ নিরাপত্তায় থাকা অসম রাইফেলসের জওয়ানরা বিভিন্ন এলাকায় টহল দিলেও সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় তাদেরও রক্তক্ষরণ অব্যাহত।