আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সাংসদ পদ ছাড়ার ঘোষণা তৃণমূল সাংসদের

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল সাংসদ। রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার ঘোষণা করলেন জহর সরকার (Jawhar Sircar)। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই…

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল সাংসদ। রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার ঘোষণা করলেন জহর সরকার (Jawhar Sircar)। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মর্মে চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।

চিঠিতে সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন জহর সরকার বলে খবর। তিনি লিখেছেন, ‘কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ আমি আগে দেখিনি। আপনার সক্রিয় হস্তক্ষেপ আশা করেছিলাম। কিন্তু আশাহত হলাম। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশয় দেওয়ার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়ছে। এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অনেক দেরি হয়ে গেছে।’

   

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া খোলা চিঠিতে তিনি আরও বলেন, সরকার এখন যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা খুবই সামান্য। কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন অনাস্থা আমি আগে দেখিনি।’ যাইহোক, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সাংসদের এহেন পদক্ষেপ তৃণমূলের কাছে যে যথেষ্ট ধাক্কার তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সাংসদ পদ ছাড়ার পাশাপাশি তিনি রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা করেছেন। 

চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, তাঁর সাংসদ পদে যোগদানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল বিজেপির স্বৈরাচারী ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি চমৎকার ফোরাম তৈরি করা। আরজি কর-কাণ্ডে এই প্রথম কোনও শাসক দলের নেতা পদত্যাগ করলেন যা কিনা নজিরবিহীন।  

গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুমে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের শিকার শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। ঘটনার বর্বরতা দেখে চমকে গিয়েছেন সমগ্র দেশবাসী। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি এমনটা ঘটবে। যাইহোক, বর্তমানে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।  তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে পরেছেন হাজার হাজার মানুষ। সকলের একটাই দাবি, ‘We Want Justice।’