সম্প্রতি ঘাটালের মহকুমা ও সুপারস্পেশালিটি হাসপাতলে ডায়ালিসিস সেন্টার উদ্বোধন করেছেন ঘাটালের সাংসদ দেব (Dev)। আর সেই নিয়েই তাঁকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। আসলে, ছয় মাস আগেই ভার্চুয়াললি এই সেন্টারের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়েই সাংসদকে বিঁধলেন কুনাল।
শুক্রবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন কুনাল ঘোষ। কুনালের অভিযোগ ১২ মার্চ ডায়ালিসিস ইউনিট স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াললি উদ্বোধন করলেও, সেটিকে ৪ সেপ্টেম্বর দেব পুনরায় উদ্বোধন করেন এবং উদ্বোধকের নামের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী নাম বদলে নিজের নাম বসিয়ে দেন। পাশাপাশি দুটো ছবি পোস্ট করে তাঁর বক্তব্য পেশ করেছেন কুনাল।
তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে কুনাল লিখেছেন, “ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন ১২ মার্চ ভার্চুয়াললি করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্থানীয় কর্তাব্যক্তিরাও ছিলেন। এবার ৪ সেপ্টেম্বর ঐ একই ইউনিটের উদ্বোধন করলেন সাংসদ দেব।উদ্বোধক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম পাল্টে সাংসদের নাম রাখা হল! সুপারস্টার একেই বলে। এলাকার মানুষ তো অবাক!! অভিনন্দন দেব।” এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি অভিনেতা-সাংসদ।
আইনি ব্যবস্থায় সংস্কার চাইলেন তৃণমূল সংসদ দেব!
ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং @MamataOfficial , 12 মার্চ, ভার্চুয়ালি। স্থানীয় কর্তাব্যক্তিরাও ছিলেন।
এবার 4/9 ঐ একই ইউনিটের উদ্বোধন করলেন সাংসদ দেব।
উদ্বোধক হিসেবে CMএর নাম পাল্টে MP.
সুপারস্টার একেই বলে।
এলাকার মানুষ তো অবাক!!
Congrats Deb. pic.twitter.com/UMsaaH3kbc— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 7, 2024
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার দেবকে নিশানা করেননি। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘গদ্দার’ বলার বিষয়টিকে সমর্থন করেননি দেব। এর প্রতিবাদ ও একটি নামি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করেছিলেন দেব। দেবের এই অবস্থানের সমালোচনা করেন, কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছিলেন, “দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দলবদল সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকদের আচরণ সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকরা আমাদের নেতা-নেত্রী-দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করলেও তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আদিখ্যেতা করে নিজের ইমেজকে সর্বপন্থী উদার রাখার চেষ্টার নাম সৌজন্য। আর বিশ্বাসঘাতক দলবদলুদের ‘গদ্দার’ বলা হলে সেটা আপত্তির!”
প্রসঙ্গত, এর আগে আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন তৃণমূল সাংসদ দেব। এই বিষয়ে একাধিকবার বক্তব্য ও পেশ করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, “আরজি করে যা হয়েছে খুবই দুঃখজনক, নিন্দনীয়। তার প্রতিবাদ করাই উচিত। সাধারণ মানুষ সেই আবেগ থেকেই পথে নেমেছেন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আর কারও সঙ্গে যেন এমন না হয়। ধর্ষকেরা এই অপরাধ করার আগে যেন ভয় পায়। এটা তো শুধু বাংলা বা অন্য কোনও রাজ্যের বিষয় নয়, এটা সারা দেশের বিষয়। ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’ বা ‘বেটি বচাও বেটি পড়াও’-এর কোনও মানেই নেই, যদি দেশের মেয়েদের আমরা রক্ষা করতে না পারি।’’
এছাড়াও দেশের আইনি ব্যবস্থায় বদল আনার ডাক দিয়ে তিনি লেখেন, “আমিও চাই প্রাণ হারানো ওই চিকিৎসক শীঘ্রই বিচার পান। আমিও চাই, দেশের আইনি ব্যবস্থায় বদল আসুক। তবে এই ন্যায় বা বদল যেন আরেকটি জীবনের মূল্যে পেতে না হয়। দয়া করে এই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করুন। হ্যাঁ, আবারও বলছি, অবিলম্বে ধর্ষকদের জন্য ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট চাই এবং সমস্ত রোগীদের জন্য অবিলম্বে মেডিক্যাল পরিষেবা চালু করা হোক।”