মনিপুরে নেতাজির আইএনএ মিউজিয়াম লক্ষ্য করে রকেট হানা, ‘টার্গেট মিস’ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে মনিপুরের (Manipur violence) পরিস্থিতি। কুকি-মেইতেইদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে দিন-রাত সংঘর্ষ চলছে দুপক্ষের। গত বছর থেকে চলা এই…

Missile target miss to INA memorial at mairang in manipur

ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে মনিপুরের (Manipur violence) পরিস্থিতি। কুকি-মেইতেইদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে দিন-রাত সংঘর্ষ চলছে দুপক্ষের। গত বছর থেকে চলা এই অশান্তি ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ। এরমধ্যে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে সম্প্রতি। শুক্রবার মৈরাঙে নেতাজি সুভাষ বোসের আইএনএ অর্থাৎ ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়ামে (Indian national Army memorial) হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে বিদ্রোহীরা। সেই মতো দূরের পাহাড় থেকে এদিন রকেট ছোঁড়ে তারা। কিন্তু সেই রকেট টার্গেট মিস করে মিউজিয়ামের থেকে ১০০ মিটার দূরে পড়ে। 

ফের কাঠগড়ায় সেবি প্রধান, দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেসের নিশানায় মাধবী

   

আর এই ঘটনায় মৈরাঙে নিহত হয় এক বৃদ্ধ। পুলিশ জানাচ্ছে ওই বৃদ্ধ প্রার্থনা করছিলেন সেই সময়। আচমকা হানায় তিনি ওই সময়ই নিহত হন। ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলমিটার দূরে বিষ্ণুপুর এলাকায় আরও তিন জনের আহত হওয়ার খবর এসেছে। এছাড়াও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু রকেটের থেকে রক্ষা পেয়েছে নেতাজির মিউজিয়ামটি।

আরজি কর আন্দোলনে সিপিএমের বাড়ন্ত প্রভাব, ‘অস্বস্তি’তে বিজেপি

১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ সেনার হাত থেকে মনিপুরে এই মৈরাঙ প্রথম দখল করেছিল আইএনএ। স্বাধীন ভারতের প্রথম পতাকাও তোলা হয় এই ছোট্ট শহরেই। জাপানিদের সহায়তায় বার্মা হয়ে হেঁটে ভারতে প্রবেশ করেছিল আজাদহিন্দ ফৌজ। তারপর সেখানে থাকা মার্কিন-ব্রিটিশ মিত্র সেনাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নেতাজির সেনানীরা। রাতভোর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৪ এপ্রিল এই মৈরাঙ ব্রিটিশ মুক্ত করেছিল আজাদ হিন্দ সেনারা। আর সেই স্মৃতিতেই পরবর্তীকালে তৈরি হয় আইএনএ মিউজিয়াম। আর সেই মিউজিয়ামে হামলা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের, দাবি স্থানীয়দের।

কেবিসির নাম করে প্রতারণা, ১১ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ব্যক্তি!

মণিপুরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষ নিয়ে সব নিরাপত্তা বাহিনীই চিন্তায় পড়েছে। জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে রাজ্য পুলিশ ছাড়াও আধা সেনা এবং সেনা মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ও সেনার বিরুদ্ধে আগেই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। তার উপর বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর এক পক্ষ মেইতেই সমাজের অসম পুলিশের উপর আস্থা নেই। অন্যদিকে, কুকিরা রাজ্য পুলিশকে একপ্রকার বয়কটের রাস্তা নিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন থেকে বোম নিক্ষেপ করছে বিদ্রোহীরা।