আঁধার চিরে আলো ফুটুক! অভয়ার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ ‘তিলোত্তমা’র

আরজিকর কাণ্ডে (RG Kar Case) বিচারের দাবিতে উত্তাল গোটা রাজ্য। বুধবার রাতে নাগরিক মিছিলে স্তব্ধ গোটা কলকাতা। ঘন্টাখানেকের ওপর ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি হাতে পথে…

Kolkata Unites in Candlelight Procession Demanding Justice for RG Kar Case

আরজিকর কাণ্ডে (RG Kar Case) বিচারের দাবিতে উত্তাল গোটা রাজ্য। বুধবার রাতে নাগরিক মিছিলে স্তব্ধ গোটা কলকাতা। ঘন্টাখানেকের ওপর ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি হাতে পথে নামে আমজনতা। আর এই মিছিলেই এদিন রাতে আরজি কর হাসপাতালে পা রাখেন নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার বাবা-মা এবং কাকা ও কাকিমা হাসপাতালে আসেন। সেখানে এসেই সংবাদমাধ্যমের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। মেয়ের মৃত্যুর পেছনে পুলিশের পরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। নির্যাতিতার মা এর স্পষ্ট বলেন, “আমি চাই অপরাধীরাও আমার মত ঘুম হারা হোক।”

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজিকর মামলা শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও কারনে সেই শুনানি শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যায়। মূলত দ্রুত বিচারের দাবিতে এদিন এই নাগরিক প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রতিবাদের আবার যাতে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছয়। কিন্তু শুনানি শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গেলেও পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ মিছিল থেকে সরে আসেন নাগরিক সমাজ। এদিন সন্ধ্যের পর থেকেই যার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে শহরের বুকে।

   

আর জি কর হাসপাতাল সংলগ্ন শ্যামবাজার চত্বরে বিচারের দাবিতে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ। মোমবাতি প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন হাতে তারা সমস্বরে গলা মেলান। তারপর শ্যামবাজার থেকে মোমবাতি মিছিল করে গিয়ে আরজ কর হাসপাতালের সামনেও প্রতিবাদ দেখানো হয়। মিছিলে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। আলো নিভিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসকেরাও ২ মিনিট নিরবতা পালন করেন। পাশাপাশি সিথির মোড়েও বিভিন্ন এলাকায় বড়দের সঙ্গে প্রতিবাদের সামিল হয়েছে শিশুরাও।

অন্যদিকে, উত্তর কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণের গড়িয়াহাট, যাদবপুরও প্রতিবাদীদের মিছিলে সরবরাহ হয়ে ওঠে। গড়িয়াহাট মোড়ে মোমবাতি নিয়ে জমায়েত করে প্রতিবাদের সামিল হয় সাধারণ মানুষ। যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয় বাস স্ট্যান্ড চত্বরেও প্রতিবাদ প্রদর্শন করে স্থানীয়রা।

এদিনের মিছিলে পা মেলান বিভিন্ন পেশার মানুষ। সেলিব্রিটি থেকে শ্রমজীবীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।গত ১৪ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে অভিনব আন্দোলন দেখেছিল গোটা রাজ্য। রাজনৈতিক ছত্রছায়ার বাইরে বেরিয়ে পথে নেমেছিল সাধারন মানুষ। আলো নেভানো হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতো ঐতিহাসিক স্থাপত্যেরও। এছাড়াও বুধবার শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ জানানোর জানানোর এক অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ‘তিলোত্তমা’