আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যের ‘অপরাজিতা’ বিল নিয়ে মমতাকে খোঁচা রিজিজুর

মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পেশ করলেন ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ (Aparajita Bill)। ধর্ষণ করে খুনের…

kiren-rijoji

মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পেশ করলেন ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ (Aparajita Bill)। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত, কঠোরতম শাস্তি এবং দ্রুত ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে এই বিল আনা হল বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই বিল নিয়েই মুখ খুলল কেন্দ্র।

মূলত, এই বিলে ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধানের পাশাপাশি জরিমানা বিধানও রয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ২০১২ সালের পকসো আইনের বিভিন্ন ধারার সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে এই ‘অপরাজিতা’ বিলে। এই বিল নিয়েই এবার মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালে সংসদে ধর্ষণের মতো অপরাধ রুখতে কঠোর আইন পাস করানো হয়েছিল।

   

ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে দ্রুত বিচার শেষ করার ব্যবস্থাও হয়েছে। এমনকি পকসো মামলাগুলির দ্রুত ফয়সালা করতে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, “২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালে একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বলা সত্ত্বেও ২০১৮ সালের ক্রিমিনাল ল (সংশোধনী) অ্যাক্টে কেন্দ্রের পরামর্শ মানতে রাজি হয়নি বাংলার সরকার।” ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

সেই চিঠির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কিরেণ রিজিজু বলেন, “যে সব জেলা থেকে শতাধিক শিশু যৌন নিগ্রহের রিপোর্ট দায়ের হচ্ছে, সেখানে নির্দিষ্ট পকসো কোর্ট তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। ১২৩ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট, ২০ পকসো কোর্ট পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করতে বলা হয়। ২০১৯ সালের ১২ মার্চ, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই, ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রিমাইন্ডারও দেওয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গের সরকার মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধে কড়া এবং দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারেনি।” তবে ‘অপরাজিতা বিল’-এর পাশাপাশি আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে মমতার সরকারকে নিশানা করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি করের ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু করে ফেলেছেন। তাঁর সরকার এই ধরনের ঘটনা রুখতে অপারগ।

আরজি করের ঘটনায় সঠিক সময় পদক্ষেপ করতে পারেনি বাংলার সরকার। এটা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। এ নিয়ে রাজনীতি উচিত নয়। কঠোর আইনের প্রয়োজন রয়েছে ঠিকই তবে কড়া পদক্ষেপ করাও আবশ্যক। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা করতে পারেনি।”