নিজের টিকিটই নয়, তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে ট্রেনে তুমুল বচসা টিটিইর, গর্জে উঠলেন যাত্রীরা

একদিকে যখন আরজি কর-এর ঘটনায় সমগ্র বাংলা অশান্ত হয়ে রয়েছে তখন নতুন করে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন অগ্নিমিত্রা পল। আজ মঙ্গলবার সকাল সকাল তিনি নিজের এক্স…

একদিকে যখন আরজি কর-এর ঘটনায় সমগ্র বাংলা অশান্ত হয়ে রয়েছে তখন নতুন করে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন অগ্নিমিত্রা পল। আজ মঙ্গলবার সকাল সকাল তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কিছু ভিডিও শেয়ার করেন। আর এই ভিডিও শেয়ার (Viral Video) করে তৃণমূল বিধায়কের ‘দাদাগিরি’ সকলের সামনে তুলে ধরলেন বিজেপি নেত্রী।

তিনি জানান, ‘আজ নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে বেশ চমকপ্রদ দৃশ্য দেখিয়ে দিলেন। নতুন করে বোঝা গেল কিছু নেতা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করেন। দু’জন অতিরিক্ত লোকের সঙ্গে ভ্রমণ করা, যাদের মধ্যে একজনের কাছে এমন একটি টিকিট ছিল যা এমনকি তাদের ছিল না। এরপর টিকিট পরীক্ষক যখন বিধায়কের কাছে বৈধ টিকিট চান তখন দু পক্ষের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার পরিবর্তে বা নিয়মের প্রতি কোনও শ্রদ্ধা দেখানোর পরিবর্তে, বিধায়ক তার ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে টিটিকে শাসাচ্ছিলেন।’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

   

ভিডিয়োয় শোনা যাচ্ছে, এক পুরুষ কণ্ঠ বলছে, ‘ আপনি এমএলএ বলে যা খুশি করবেন?’ একইসঙ্গে মহিলা কণ্ঠও সরব হতে থাকে। এক মহিলা বলছেন, ‘ট্রেনে এমন একটা হ্যাজার্ড.. একটা ক্যাওস সৃষ্টি করছেন, অন্যের টিকিট-এ চলে আসবেন?’ তবে বিধায়ক কোনওকিছুকেই গ্রাহ্য করেননি। অন্যদিকে যাত্রীরাও টিটিইকেই সমর্থন করেছিলেন এবং বলে যে যত উঁচু পদেই থাকুক না কেন এর অর্থ এই নয় যে তারা নিয়ম লঙ্ঘন করতে পারে বা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাউকে হুমকি দিতে পারে।

একজন বলে ওঠেন, ওঠে,’ওনার নামে তো টিকিট নেই।’ এরপরই বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি কোর্টে যান..।’ অগ্নিমিত্রা লেখেন, ‘তৃণমূলের এখন সময় এসেছে যখন আয়নার দিকে তাকানো এবং নিয়ম, মানুষকে সম্মান করা তাঁদের প্রথম অগ্রাধিকার হওা উচিৎ। তাঁদের নিজেদের স্বার্থ বা অধিকারকে পাশে সরিয়ে মানুষের কল্যাণ করা উচিৎ।’