বড় বিপদে ‘আইসি ৮১৪’, নেটফ্লিক্সের কনটেন্ট হেডকে তলব তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের 

নেটফ্লিক্স স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের সিরিজ ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ (IC 814: The Kandahar Hijack) নিয়ে সোশাল মিডিয়া বিতর্কের মধ্যে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার কনটেন্ট হেডকে তলব করল…

South Eastern Railway

short-samachar

নেটফ্লিক্স স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের সিরিজ ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ (IC 814: The Kandahar Hijack) নিয়ে সোশাল মিডিয়া বিতর্কের মধ্যে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার কনটেন্ট হেডকে তলব করল কেন্দ্রীয় সরকার। একটি নামী সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে সোমবার নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার কনটেন্ট হেডের উদ্দেশ্যে একটি সামন জারি করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার কনটেন্ট হেড মনিকা শেরগিলকে ওয়েব সিরিজের কথিত বিতর্কিত দিকগুলির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর  মন্ত্রকের দফতরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

   

‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’, একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরী ওয়েব সিরিজ যেখানে পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হরকাত-উল-মুজাহিদিনের ভারতীয় এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৮১৪-এর কুখ্যাত ১৯৯৯ হাইজ্যাকের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সিরিজে দুই হাইজ্যাকারের নাম পরিবর্তন করে হিন্দু নাম রাখার অভিযোগে সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কের শুরু হয়। বাস্তব জীবনের হাইজ্যাকের উপর ভিত্তি করে তৈরী শোটি শতাধিক যাত্রীর মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা এবং সরকারের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলি বর্ণনা করে।  বিমানটি আফগানিস্তানের তালিবান-নিয়ন্ত্রিত কান্দাহারে পৌঁছনোর আগে সেটিকে একধিক শহরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 

সিরিজে হাইজাকারদের চিফ, ডক্টর, বার্গার, ভোলা এবং শঙ্কর সাংকেতিক নাম দিয়ে দেখানো হয়েছে। ভোলা এবং শঙ্কর নামের ব্যবহার সোশাল মিডিয়াতে সমালোচনার জন্ম দেয়, কারণ কেউ কেউ চলচ্চিত্রনির্মাতাদের ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দু নাম বেছে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন, এবং বলেন যে এর ফলে ঘটনাগুলিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হবে এবং সম্ভাব্য ধর্মীয় উত্তেজনার উস্কানি দেওয়া হবে। সিরিজটি সোশাল মিডিয়াতে একটি উত্তপ্ত বিতর্কের সূত্রপাত করে, যেখানে সমালোচকরা ঘটনাকে বিকৃত করার অভিযোগে সিরিজের পরিচালক অনুভব সিনহাকে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

আরজি করের প্রতিবাদ, রাজ্যজুড়ে বিজেপির জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার

এক্স প্ল্যাটফর্মের একটি পোস্টে, বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালভিয়া লিখেছেন, “আইসি-৮১৪ -এর হাইজ্যাকাররা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী ছিল, যারা তাদের মুসলিম পরিচয় লুকানোর জন্য উপনাম ব্যবহার করেছিল। চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুভব সিনহা, তাঁর সিরিজে এদের অপরাধমূলক উদ্দেশ্যকে বৈধতা দিয়েছেন তাদের ব্যবহৃত অমুসলিম নামগুলিকে মান্যতা দিয়ে। কয়েক দশক পরে, দেশবাসী ভাববেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আইসি-৮১৪ হাইজ্যাক করেছিল।”

তিনি আরও লিখেছেন, “পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের অপরাধকে ঢাকা দেওয়ার যে অ্যাজেন্ডা বামপন্থিরা নিয়েছিলেন কেবল মুসলমানদের ভাবাবেগের কথা মনে রেখে, তা গোটা ৭০ এর দশকের সিনেমায় পরিবেশিত হয়েছে। এটাই সিনেমার শক্তি। এটি অদূর ভবিষ্যতে ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শুধু দুর্বলই করবে না, বরং একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সমস্ত দোষ ঢেকে দেবে যারা প্রচুর রক্তপাতের জন্য দায়ী।”

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ অমিত মালব্যর টুইটের উত্তরে পাল্টা টুইট করে লিখেছেন, “যারা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ এর মতো সিনেমাগুলিকে গসপেলের মতো সত্যি বলে মানেন, তাঁদের নেটফ্লিক্স শো ‘আইসি ৮১৪’ এ দেখানো ঘটনাগুলিকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে তা দেখে খেপে যাওয়া খুবই হাস্যকর। এখন হঠাৎ করে তাঁরা চাইছেন নির্ভুল এবং সূক্ষ্ম একটি স্ক্রিপ্ট পরিবেশন করা হবে ।”