সমুদ্রগর্ভে পুতিনের ‘গুপ্তচর’ তিমি, নরওয়েতে হলদিমিরের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য

নরওয়ের রাজধানী অসলোর কাছে ফিয়র্ডে উদ্বার হল একটি তিমির মরদেহ। আদতে তিমি হলেও আদ্যপান্তই সে রাশিয়ার গুপ্তচর ছিল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। বেলুগা প্রজাতির এই তিমি…

Haldimir Russian spy whale died in Norway sparks controversy

নরওয়ের রাজধানী অসলোর কাছে ফিয়র্ডে উদ্বার হল একটি তিমির মরদেহ। আদতে তিমি হলেও আদ্যপান্তই সে রাশিয়ার গুপ্তচর ছিল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। বেলুগা প্রজাতির এই তিমি মূলত সুমেরু অঞ্চলের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে। তাই ওই সমস্ত অঞ্চলের সমুদ্রে শক্রপক্ষের গতিপ্রকৃতি বুঝতে এই বেলুগা তিমিকেই ভরসা করেছিল রাশিয়া। নয়ওয়ের নাম ‘হল’ ও রাশিয়ার ‘দিমির’ থেকেই এর নামকরণ হয় হলদিমির। ১৪ ফুট দৈর্ঘ্য, ১২০০ কেজি ওজনের এই তিমি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৯ সালে। 

পাঁচ দিনের উদ্ধার অভিযানের পরে টানেল থেকে উদ্ধার ৩ বিদেশি শ্রমিকের মৃতদেহ!

   

রাশিয়ার ‘গুপ্তচর’ না কি সাধারণ কোনও তিমি! তাকে নিয়ে জল্পনা ছিল বিস্তর। আর তার মৃত্যু ঘিরেও শুরু হয়ে গিয়েছে নানা জল্পনা। গলায় একটি বেল্টের মতো কিছু বাঁধা ছিল তাঁর। তাতে সেন্ট পিটার্সবার্গের কোনও যন্ত্র লাগানো ছিল বলেও বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়। আর তা থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি তিমিটিকে সমুদ্রপথে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লাগিয়েছে রাশিয়া? কারণ সুমেরু সংলগ্ন ওই অঞ্চলে রয়েছে বিপুল তেলের ভাণ্ডার। আর সেই তেলের ওপর স্বাভাবিকভাবেই নজর রয়েছে আমেরিকা সহ পশ্চিমী দুনিয়ার।

যুদ্ধ চলাকালীনই রাতারাতি ড্রোন হামলা ইউক্রেনের, অভিযোগ রাশিয়ার

তাই ওই অঞ্চল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মার্কিনি কার্যকলাপের সম্ভাবনা একেবারকেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ওই আর্কটিক অঞ্চলে উত্তেজনা ক্রমশই বেড়েছে। যারফলে নরওয়ে, ফিনল্যান্ডের মতো দেশগুলির সঙ্গেও রাশিয়ার অবিশ্বাসের বাতাবরন তৈরি হয়েছে। তাই সেই সঙ্গে সমুদ্রের অতলে বেলুগা তিমিদের চলাচলকেও সন্দেহের চোখে দেখছে পশ্চিমী দেশগুলি।

‘ইজরায়েল যু্দ্ধই কাঁটা’, ত্যাগীর পদত্যাগে বিরোধ বাড়ছে মোদী-নীতীশের

নরওয়ের মৎস দফতরের মতে, রবিবার সকালে নরওয়ের উপকূলবর্তী এলাকায় তিমিটির দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে তিমিটির কাছাকাছি যেতে পর্যটক ও স্থানীয়দের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেদেশের প্রশাসন। কীভাবে মৃত্যু হল হলদিমিরের, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে নরওয়ে প্রশাসন। তবে এই ঘটনা মস্কো ও অসলোর মধ্যে বিরোধ বাড়াতে পারে বলেও মনে করছে কূটনৈতিক মহল।