ভোটের মুখে দলভারী হল BJP-র, দলে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রী, মেয়র

বিধানসভা ভোটের মুখে নতুন করে দলভারী করল বিজেপি (BJP)। এবার দলে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রী থেকে শুরু করে মেয়র। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। Advertisements আসলে…

two bjp leaders left party and joined tmc from nandigram of east mednipur district

বিধানসভা ভোটের মুখে নতুন করে দলভারী করল বিজেপি (BJP)। এবার দলে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রী থেকে শুরু করে মেয়র। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

Advertisements

আসলে রবিবার জিন্দে জন আশীর্বাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনি। আর এই সমাবেশে জেজেপি বিধায়ক রামকুমার গৌতম, যোগিরাম সিহাগ এবং প্রাক্তন মন্ত্রী অনুপ ধনক বিজেপিতে যোগ দিলেন। আম্বালার প্রাক্তন মেয়র শক্তি রানি শর্মাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শক্তি রানী হরিয়ানা জনচেতনা পার্টির প্রধান বিনোদ শর্মার স্ত্রী, যার ছেলে কার্তিকেয় শর্মা বিজেপির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভায় পৌঁছেছেন।

   

সমাবেশের আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন সাংসদ সঞ্জয় ভাটিয়া বলেন, ‘কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে পার্থক্য কোথায় তা এই সমাবেশ দেখিয়ে দেবে। তিনি বলেন, কংগ্রেসে ঔরঙ্গজেবের মতো সংস্কৃতি রয়েছে। সেই সংস্কৃতিতে সিংহাসনের জন্য ভাইকে হত্যা করা হয় এবং বাবাদের জেলে ঢোকানো হয়। এই কারণেই ভূপিন্দর হুডা তাঁর পুত্র দীপেন্দর হুডা ছাড়া আর কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য যোগ্য মনে করছেন না।’

Advertisements

উপনির্বাচনে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে পরাজিত করেন ভূপিন্দর সিং হুডা। পিছিয়ে পড়েছেন কুমারী শৈলজা, কিরণ চৌধুরি, রণদীপ সুরজেওয়ালাকেও। সঞ্জয় ভাটিয়া বলেন, ‘বীরেন্দ্র সিং কংগ্রেসে যেতে পারেন, কিন্তু তিনি একজন ভাল নেতা। হুডা যদি বাঙ্গারকে কংগ্রেস হলে বাঙ্গারের মুখ্যমন্ত্রী করার কথা ঘোষণা করেন, তাহলে তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লালের সঙ্গেও ছবি তুলবেন।’

আম্বালা সিটি মেয়র শক্তি রানী শর্মার বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলের পক্ষে একটি বড় সাফল্য হিসাবে মনে করা হচ্ছে। শক্তি রানি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় দল শুধু একজন প্রভাবশালী ব্রাহ্মণ মহিলা নেত্রীই পায়নি, বিধানসভা নির্বাচনে তিনি শক্তিশালী প্রার্থীও হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শক্তি রানী শর্মার রাজনৈতিক পটভূমি এবং তার জনপ্রিয়তা তাকে আম্বালা শহর বা কালকা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করার সম্ভাবনাকে শক্তি জোগায়। তাঁর অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে বিজেপি উত্তর-ভারতে এক নতুন মুখ পেয়েছে, যিনি দলের কৌশলগত পরিকল্পনাকে সমর্থন করবেন।