আরজি করের পর প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আরও একটি হাসপাতালের নিরাপত্তা

বর্তমানে খবরের শিরোনামে শুধুই আরজি কর। সেখানে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। বিচার চেয়ে বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামছে মানুষ। সেইসঙ্গে…

বর্তমানে খবরের শিরোনামে শুধুই আরজি কর। সেখানে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। বিচার চেয়ে বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামছে মানুষ। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে আরজি করের নিরাপত্তা নিয়েও। কিন্তু এবার সেই আরজি করের পাশাপাশি রাজ্যের আরেক হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। সেখানে খোদ নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে উঠেছে তান্ডবের অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, কাশীপুরের নর্থ সাবার্বান হাসপাতাল (North Suburban Hospital) থেকে এই অভিযোগ উঠেছে।

আরজি করে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই হাসপাতালে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের ছবিটা ফুটে উঠেছে। এইসব ঘটনার পরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও রোগীদের থেকে শুরু করে সকলের নিরাপত্তা। এবার সেই নিরাপত্তার প্রশ্নের মুখে পড়ল নর্থ সাবার্বান হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা। সেখানে মত্ত অবস্থায় ডাক্তারদের দরজায় লাথি মেরে তাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর। ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? সেই হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় ডাক্তারদের দরজায় লাথি মেরেছে দুই অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী। এমনকি তাণ্ডবও চালিয়েছে তারা। জানা যাচ্ছে, দুই অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

   

ধৃত দুই নিরাপত্তারক্ষীর নাম ধর্মেন্দ্র প্রসাদ ও সৌরভ দে। জানা যাচ্ছে, নর্থ সাবার্বান হাসপাতালের তরফে এরকম অভিযোগ এই প্রথম নয় এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ওই হাসপাতালে। সেইসঙ্গে তাঁরা এর আগেও একাধিক বার এই দুই অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু তখন তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। হাসপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্বাস্থ্য দফতর থেকে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চেও চিঠি লিখে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের অভিযোগ এত কিছুর পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তবে এই ঘটনার পর হাসপাতালের সুপার কাশীপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এরপর পুলিশ সেই হাসপাতালে গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। তবে বর্তমানে এই ঘটনায় নর্থ সাবার্বান হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এত বড় একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এমনকি সেখানে যথার্থ নিরাপত্তার অভাব দেখা দেওয়ার পরেও কীভাবে রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালে ফের এরকম ঘটনা ঘটছে।