‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবি নিয়ে মতবিরোধ কুণাল-পরমব্রতর

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের আবহে সদ্য মুক্তি পেয়েছে সনোজ মিশ্র পরিচালিত ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবিটি। তার ঠিক আগে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবির ট্রেলার।…

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের আবহে সদ্য মুক্তি পেয়েছে সনোজ মিশ্র পরিচালিত ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবিটি। তার ঠিক আগে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবির ট্রেলার। কিন্তু ছবি মুক্তির দিনই এই ছবিকে কেন্দ্র করে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। আর এই ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে নানান মন্তব্য করে বসেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এরপর কুণাল ঘোষের মন্তব্য ও আরজি কর কান্ড নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee)।

এমনিতেই আরজি কর কান্ডকে ঘিরে এখন প্রতিবাদে সরব গোটা দেশ। তার মধ্যে রাজনৈতিক ডায়াফ্রেমে তৈরী এই ছবি মুক্তি পাওয়ায় এই ছবিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুণাল ঘোষের অভিযোগ, বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই ছবি মুক্তি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “বাংলা ইন্ডাস্ট্রি প্রতিবাদ করবে না?” তৃণমূল মুখপাত্রের এই মন্তব্যের পর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁর মতে কুণাল ঘোষের কথাগুলি বেশিরভাগটাই অপ্রাসঙ্গিক। সেইসঙ্গে অভিনেতার কথায়, “তিনি অন্য সিনেমাগুলিকে টেনে যে কথাগুলি বলছেন, নিশ্চয়ই বাংলাকে নিয়ে কিছু ফেক নিউজ বা মিথ প্রচারিত হয়।

   

যারা তৃণমূল কংগ্রেস করেন, শাসকদলের সদস্য যারা, তাঁরা কীভাবে সেটার দাবি জানাবেন, কীভাবে সেটাকে কাটবেন, সেটার শিক্ষা কিন্তু সেই দলকেই দিতে হবে। তাঁদেরকে রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ক করে তুলতে হবে। আর আমরা যারা সুশীল সমাজ বা সিভিল সোসাইটির গর্বিত সদস্য বলে দাবি করি, তারা কিন্তু সবচেয়ে বেশি এই ধরণের ডিবাঙ্কিং গুলি করে থাকি। সেটা কুণাল বাবু হয়তো খবর রাখেন না।” শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে পরমব্রত বলেন, “আবারও বলছি, নন্দীগ্রাম মুভমেন্টের সময়, তখনকার শাসকদল আমাদের বলেছিল , বিরোধীদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য এরা এটা করছে।

২০১৯ সালে আমরা যখন এনআরসি- এর প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম, তখন কেন্দ্র বলেছিল, রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে আমরা এটা করছি। আজকে যখন আমরা আরজিকর কাণ্ডের সমালোচনা বা প্রতিবাদ যখন করছি, তখন শাসকদল বলছে আমরা নাকি বিরোধী পক্ষ রাম-বাম-এর হয়ে কাজটা করছি। তো এই মেরুকরণটা যত এরা করতে থাকবেন, শাসকদলের মুখপাত্র করতে থাকবেন, ততই শাসকদল ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে ফারাকটা মিটে যেতে থাকবে, বোঝা যাবে যে, রাজনীতিতে যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ।”

তবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের এই ছবি নিয়ে মন্তব্যের পর বিধায়ক ও অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এই বিষয়ে মুখ খুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন।