ফের বেসুরো বরুণ। শুক্রবার সরাসরি মোদি সরকারকে (BJP) আক্রমণ করে তিনি ট্যুইট করেন, এই মুহূর্তে দেশের সবথেকে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব। এই সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেকটা তুলো চাপা দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা। এই ট্যুইটের সঙ্গে তিনি সংবাদ সংস্থা বিবিসির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন। চলতি সপ্তাহেই বিহারে রেলে চাকরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বরুণ এই ভিডিও শেয়ার করে সরাসরি তাদেরই সমর্থন করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে এই দলীয় সাংসদের একটা ঠান্ডা লড়াই চলছে। কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বরুণ। লাখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। এসব ঘটনার জেরে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়তে হয়েছে বরুণ ও তাঁর মা মানেকা গান্ধীকে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল বরুণ গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। যদিও বরুণের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বরুণ মোদি সরকারের অর্থনীতি ও কৃষি নীতি নিয়ে বারেবারেই সরব হয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, দেশের ভেঙেপড়া অর্থনীতির হাল ফেরাতে মোদি সরকার সম্পূর্ণ ভুল পথে চলছে। এহেন স্পষ্ট কথার জন্য উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারকদের তালিকা থেকে বরুণ এবং তাঁর মাকে বাদ দিয়েছে বিজেপি। বরুণের সর্বশেষ এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই তাঁ দল ছাড়ার সম্ভাবনা আরও জোরাল হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বরুণ এখনই তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। বরং তিনি বাইরে থেকে বিজেপিকে ক্রমাগত আক্রমণ করে তাদের অতিষ্ঠ করে তুলবেন। দল বিরোধী কাজের জন্য বিজেপি তাঁকে বহিষ্কার করলে তিনি শহিদের মর্যাদা পাবেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফল দেখেই বরুণ চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ফল খারাপ হয় তবে বরুণ হয়তো বিজেপি ছাড়তে পারেন।