আরজি কর কাণ্ডে প্রকাশ্যে এল ‘চাদর রহস্য’, তুঙ্গে বিতর্ক

RG Kar Death Case: দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের সামনে আনতে পারেনি…

RG Kar Death Case: দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের সামনে আনতে পারেনি দেশের এক নম্বর তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই নৃশংস ঘটনার পর অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে এই তদন্তের দায়ভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত আর কোনো অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই অনেক রহস্য দানা বাঁধছে।

আরজি কর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো অভিযোগ রয়েছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টও এর আগে খুনের জায়গায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্খা প্রকাশ করেছে। তবে এসবের মাঝে এই ঘটনায় ‘চাদরের রং’ নিয়ে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্যাতিতার দেহে ঢাকা চাদর বদলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করল তার পরিবার। এদিকে পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা যখন তাঁদের মেয়েকে দেখেছিলেন তখন তার গায়ে ছিল সবুজ চাদর।
কিন্তু এদিকে ছবিতে দেখা গেছে, নীল চাদরে মোড়া রয়েছে চিকিৎসকের দেহ।

   

নির্যাতিতার মা অভিযোগ তুলে বলেছেন, “প্রথম তিনটের সময় নাকি একজন আমার মেয়ের কাছে গেছিল। সে নাকি দেখেছিল, আমার মেয়ে লাল চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছে। পরে একজন ফটো দেখেছে, সে নীল চাদর গায়ে দেওয়া। আমরা যখন দেখেছি, তখন দেখেছি সে সবুজ চাদর গায়ে দেওয়া। কিন্তু, যখন নীল চাদর গায়ে দেওয়া, তখন তার ওই বেড থেকে পা অনেকটা দূরে, এই ফটোটাও আমরা দেখেছি এবং আমরা যখন দেখেছি, তখন পা-গুলো সামনে একদম পুরো সাজিয়ে গুছানো, ওটা পুরো বোঝা যাচ্ছে যে, কেউ সাজিয়ে-গুছিয়ে একদম পুরো দেখিয়েছে আমাদের।”

যদিও কলকাতা পুলিশ পরিবারের এই দাবি একেবারেই নস্যাৎ করেছে। কোন সবুজ চাদর ছিল না এই কথা বলে চাদর বদলের অভিযোগও একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, “যে চাদর দিয়ে কভার করা হয়েছিল, সেটা নীল। আমাদের ফটো, ভিডিওগ্রাফি তিনটেতেই চাদরের রং লাল। ইনকোয়েস্টের সময় চাদর নীল ছিল। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যখন সিবিআইয়ের কাছে চলে যায়, তার মধ্য়েও কিন্তু একই রং আছে। অন্য় কোনও কালারের কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। অন্য় কোনও রং, আমাদের রেকর্ডে নেই। আমাদের সিজার লিস্টে যেটা, সেটা নীল। সবুজ বা কিছু নয়। যেটা লাল সেটা আলাদা সিজার। আগে পাওয়া গেছে। সবুজের কোনও অস্তিত্ব নেই। যেটা লাল বলছেন, ওটা চাপা দেওয়ার নয়।”