Modi government land rule: ভারতে জমি কিনতে পারবেন বাংলাদেশিরা। একদম বৈধ উপায়ে, ভারতের নাগরিকত্ব ছাড়াই। ২০১৬ সালে এই নিয়ম চালু করে কেন্দ্রের মোদী সরকার। উত্তাল বাংলাদেশ ছাড়তে চাইছেন অনেক বাংলাদেশি হিন্দু। তালিকায় অন্য সংখ্যালঘুরাও আছেন। তাঁদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ভারত। আরও ভালোভাবে বললে পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকা।
বেআইনি ভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ। সম্পত্তি কেনার বহু উদাহরণ আছে। কিন্তু এখন আর সেই জমানা নেই। সীমান্তে অনেক কড়াকড়ি আছে। আর অবৈধভাবে ভারতে এসে গ্রেফতার হওয়ার উদাহরণও আছে। তাই অনৈতিক পথ ছেড়ে বৈধ পথেও ভারতে জমি কিনতে চাইছেন বাংলাদেশিরা।
পদ্মাপাড়ের বাসিন্দাদের জন্য ভারতে পাকাপাকি জমি কেনার ব্যবস্থা করেছে মোদী সরকার। সেটাও আবার আট বছর আগে। ২০১৬ সালে।বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল হস্তান্তরের পরের বছরে। বুরহান ওয়ানির হত্যা নিয়ে তখন কাশ্মীর গরম। সেই সময়ে কেন্দ্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেয়।
মোদী সরকার নিয়ম করে এই তিন দেশের অমুসলিমরা ভারতে প্যান কার্ড, আধার কার্ড করতে পারবেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুলতে পারবেন।শুধু তাই নয়। জমিও কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু শর্ত আছে।
পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে জমি কেনার প্রধান শর্ত হচ্ছে- দীর্ঘমেয়াদী ভিসা নিয়ে ভারতে আসতে হবে। কমপক্ষে ভিসার মেয়াদ হতে হবে ১৮০দিন। এছাড়া জমি কেনার কারণ উল্লেখ করে জমি কেনার আবেদন করা যাবে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ছাড়পত্র পেলেই জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা যাবে।
বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে এখন অনেকেই ভারতে জমি কিনতে আগ্রহী। এই পথে কাঁটা কেন্দ্রের শর্ত। বেশিরভাগ বাংলাদেশিদের অভিযোগ, ৩০ থেকে ৯০ দিনের বেশি মেয়াদের জন্য ভারতের ভিসা পাওয়া যায় না। এতে কীভাবে শর্ত পূরণ হবে, এই প্রশ্নও অনেকে তুলছেন।
সম্প্রতি, ঢাকার ভারতীয় ভিসা অফিসের সামনে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। ভিসা না পেয়ে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। এর পিছনে কোনও কূটনৈতিক কৌশল রয়েছে কিনা তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।